গণধর্ষণের শিকার এক তরুণী শুক্রবার রাতে দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আদালতের শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য যাত্রা করলে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ধর্ষণে অভিযুক্তরা। মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত মারা যান উন্নাওয়ের ওই ২৩ বছর বয়সী তরুণী। খবর রয়টার্স ও এনডিটিভি।
ভারতের উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের ওই তরুণীর শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকেই তাকে বিমানে করে দিল্লির সফদারজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃত্যুর আগে পুলিশকে ওই তরুণী তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া পাঁচজনেরই নাম বলে যান বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এ পাঁচজনের মধ্যে মার্চে তাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত দুজন ও তাদের বাবারাও আছেন।
উন্নাওয়ের ওই তরুণী গত মার্চে তাকে ধর্ষণে শিবম ত্রিবেদি ও শুভম ত্রিবেদি নামে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ পরে শিবমকে আটক করলেও শুভম ছিলেন পলাতক।
আদালতে যাওয়ার পথে তরুণীকে ‘পুড়িয়ে মারার চেষ্টার’ মাত্র পাঁচদিন আগে শিবম জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন।
মৃত্যুর আগে দেয়া জবানবন্দিতে দগ্ধ তরুণী তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়াদের মধ্যে শিবম ও শুভম দুজনই ছিল বলে জানিয়েছেন। পুলিশ গত বৃহস্পতিবার পাঁচজনকেই গ্রেফতার করেছে।