২০১৮ সালে সারা বিশ্বে প্রায় এক কোটি মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছে, প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার, যার মধ্যে সিংহভাগই শিশু। বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলেই সংক্রামক রোগটি মহামারী আকারে আঘাত হেনেছে বলে বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে। খবর রয়টার্স।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, গত বছর হামের কারণে মৃত শিশুদের বেশির ভাগেরই বয়স ছিল পাঁচ বছরের নিচে, যাদের কোনো টিকা দেয়া হয়নি। প্রাণহানির পরিসংখ্যানকে ‘নিষ্ঠুরতা’ উল্লেখ করে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ত্রেদোস অ্যাদনম ঘেব্রিসেস বলেন, টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব এমন রোগে যে কোনো শিশুর মৃত্যুর ঘটনাই নিষ্ঠুরতা। এটি আসলে বিশ্বের সবচেয়ে অরক্ষিত শিশুদের রক্ষা করতে সম্মিলিত ব্যর্থতারই প্রতিফলন।
চলতি বছর এ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক পরিসংখ্যানে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছর হাম আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ২৫ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক হাম আক্রান্তের কথা জানিয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালে ইউরোপের চারটি দেশ আলবেনিয়া, চেক রিপাবলিক, গ্রিস ও ব্রিটেন বড় ধরনের হাম মহামারীর কারণে ডব্লিউএইচওর ‘হামমুক্ত’ মর্যাদা হারিয়েছে।
২০১৮ সালে লাইবেরিয়া, ইউক্রেন, কঙ্গো, মাদাগাস্কার ও সোমালিয়া সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারীর শিকার হয় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। এ পাঁচটি দেশে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক হাম আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে।
