সঠিক নিয়মে খাবার পায় না ৬৬% শিশু

ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ

অনেক পরিবারের সামর্থ্যের অভাব নেই। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার ক্রয়ের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে। ঘাটতি কেবল সচেতনতার। অনেকে আবার সচেতন হলেও সামর্থ্য নেই। পরিবারগুলোর সামর্থ্য সচেতনতার অভাবে সঠিক নিয়মে খাবার পাচ্ছে না শিশুরা। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ জনতাত্ত্বিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার তথ্য বলছে, স্বীকৃত চর্চা আইওয়াইসিএফ (ইনফ্যান্ট অ্যান্ড ইয়াং চাইল্ড ফিডিং) অনুযায়ী খাবার খাওয়ানো হচ্ছে দেশের মাত্র ৩৪ শতাংশ শিশুকে। থেকে ২৩ মাস বয়সী ৬৬ শতাংশ শিশুই সঠিক নিয়মে খাবার পাচ্ছে না।

শিশুদের রীতি মেনে না খাওয়ানোর চর্চাকে দেশের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রতিবন্ধক হিসেবে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, শিশুর ছয় মাস বয়সে বুকের দুধের পাশাপাশি সম্পূরক খাবার দেয়ার নিয়ম থাকলেও তাতে বিলম্ব হচ্ছে। সম্পূরক খাবার দিলেও তাতে বৈচিত্র্য থাকছে না। ভাত, ডাল, সুজিই বেশি খাওয়ানো হচ্ছে। মাছ-মাংসের মতো প্রাণিজ আমিষ ফলমূল সেভাবে পাচ্ছে না দরিদ্র পরিবারের শিশুরা। ফলে দুর্বল হয়ে বেড়ে উঠছে এসব শিশু। বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশও ব্যাহত হচ্ছে তাদের।

শারীরিক সমস্যা নিয়ে বেড়ে ওঠা শিশুদের একজন সিলেটের খাদিম চা বাগানের অধীর মোদি। মা কাজল মোদি জন্মের পর ছেলেকে বুকের দুধ খাইয়েছেন ঠিকই, তবে ছয় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়তি তেমন কিছু খাওয়াতে পারেননি। বাড়িতে তৈরি নরম ভাত খাইয়েছেন কেবল। পাঁচ বছর পূর্ণ করা অধীর বেড়ে উঠছে দুর্বল হয়ে। অন্য শিশুদের মতো খেলাধুলা-চঞ্চলতায় মন নেই তার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক . নাজমা শাহীন বলেন, ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদের খাবারে কী থাকবে সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন আছে। ঠিকমতো তা অনুসরণ না করলে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। বিকল্প সহায়ক খাদ্যগুলো পরিমাণমতো না পেলে তাদের ওজনস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। কম পুষ্টি পাওয়া এসব শিশু বয়সকালে শারীরিক নানা সমস্যায় ভোগে।

আইওয়াইসিএফ নির্দেশিকা অনুযায়ী, শিশুর জন্মের আধা ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়াতে হয়। ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ এবং এরপর সম্পূরক খাবার দিতে হয় শিশুকে। তবে সেই খাবার হতে হয় পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ। দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। সম্ভব হলে আরো বেশিদিন খাওয়ানো যেতে পারে।

নিয়ম

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন