বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় চাক ও মারমা জনগোষ্ঠীর শতাধিক একর জুমের জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবার। গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়। এর আগে শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চের সামনে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, উপজেলার ২৭০ নং নাইক্ষ্যংছড়ি মৌজা, ২৭২ নং জারুলিয়াছড়ি মৌজা ও ২৬৯ নং সোনাইছড়ি মৌজায় জুমখোলা, ক্যকরোপ পাড়াসহ ১১টি পাড়ার চাক ও মারমারা যুগ যুগ ধরে জুম চাষ করে আসছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা পর্যটনের নামে সেখানকার শতাধিক একর জমি দখল করেছেন। জনপদহীন পাহাড়ি জুম ভূমিতে জেলা পরিষদের টাকায় সোনাইছড়ি ইউনিয়নে জারুলিয়াছড়ি-বোমাঝিরি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করেছেন।
গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভুক্তভোগীরা স্মারকলিপি দেয়। জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম সেটি গ্রহণ করে আশ্বাস দিয়েছেন, শিগগিরই তারা এটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাবেন।