খিচুড়ির ইতিবৃত্ত

মণিদীপা দে

শুঁটির খিচুড়ি করে খেয়েছে যে জন।

ভুলিতে না পারে আর তার আস্বাদন।।

এই শীতে মুগের খিচুড়ি যেই খায়।

সে জন ভোজনে আর কিছুই না চায়।।

ঈশ্বর গুপ্ত

 

বাঙালিকে সবাই চেনেভেতো বাঙালিনামে। হবেই তো, কারণ একবেলা নয়, বাঙালি পারলে তিন বেলাই ভাত খায়। গরিব-বড়লোক নির্বিশেষে বাঙালির চিরকালীন প্রিয় খাবার হলো গরম ভাত, অল্প নুন আর সঙ্গে গাওয়া ঘি। বাঙালি চাষা মজুরের ঘরে দিনের শেষে চরম প্রাপ্তি হলো এক থালা পান্তা ভাত আর তার সঙ্গে বেগুন পোড়া। আর বাড়ির কোনো শুভকার্যে মিষ্টি বলতে বাঙালি বোঝে গোবিন্দভোগ চালের পায়েস, একটু গুড় দিয়ে। আর তো আজকের নয়, সেই চর্যাপদে আমরা শুনতে পাই গরিব বাঙালির দুঃখের কাহিনী, হাঁড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশী, অর্থাৎ কিনাঘরে ভাত নেই তবু অতিথির আসা-যাওয়ার শেষ নেই

ঘি দেয়া গরম ভাত আর পরমান্ন (পায়েস) ছাড়াও বাঙালির আরো একটা প্রিয় খাদ্যবস্তু হলো খিচুড়ি, যা কিনা সেই চাল দিয়েই বানানো। এখানেও সেই ভাত, কিন্তু সঙ্গে মেশানো ডাল আর অনেক সময় তার সঙ্গে থাকে সময়োপযোগী নানা রকমের সবজি। অত্যন্ত উপাদেয় খাদ্যটির ওপর কিন্তু শুধু বাঙালির একার অধিকার নেই; খিচুড়ি পুরো ভারত, বাংলাদেশ পাকিস্তানেরও প্রিয় খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। এমনকি আফগানিস্তানেও খিচুড়ির ভালোই প্রচলন আছে কের্চের কুরুট নামে, যা রান্না হয় ছাঁকা দই দিয়ে।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন