৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য অনুমোদিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ইউপিজিডিসিএল)। এছাড়া ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট আকারেও লভ্যাংশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের এ তথ্য জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিটি।
সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৪০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইউপিজিডিসিএল। এর মধ্যে ১৩০ শতাংশ নগদ ও বাকি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত আয় হয়েছে ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। এককভাবে আয় হয়েছে ৬৪৭ কোটি টাকা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৬১৪ কোটি টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৭৮৫ কোটি টাকা। এককভাবে মুনাফা হয়েছে ৪৮০ কোটি টাকা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৪৫৯ কোটি টাকা।
গত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৮ পয়সা। একক ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৩ পয়সা। ৩০ জুন সম্মিলিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৮০ পয়সা, এককভাবে যা ৩৬ টাকা ৫৩ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৯০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ইউনাইটেড পাওয়ার। সে হিসাব বছরে বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১১ টাকা ৫১ পয়সা। হিসাব বছর শেষে এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৮০ পয়সা।
ডিএসইতে গতকাল ইউনাইটেড পাওয়ার শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৫২ টাকা ৮০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ২৫৩ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২৫২ টাকা ও ৪২২ টাকা ৫০ পয়সা।
২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র কমার্শিয়াল আইপিপি কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৮০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৫২৬ কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
