জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথ

সক্ষমতা ২২ ট্রেনের, চলছে দিনে ৪২টি

শামীম রাহমান

বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যস্ততম রেলপথগুলোর একটি জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী। ঢাকা-খুলনা-যশোর, ঢাকা-রাজশাহী ঢাকা-দিনাজপুর রুটের ৪২টি ট্রেন প্রতিদিন একবার রেলপথটি ব্যবহার করে। যদিও দৈনিক মাত্র ২২টি ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা রয়েছে ১৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন রেলপথের। সক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ ট্রেন চলাচল করায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বেশির ভাগ ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ছে। এতে দীর্ঘ হচ্ছে ঢাকার সঙ্গে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনযাত্রা।

জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথে শুধু ঢাকা-রাজশাহীর মধ্যেই প্রতিদিন চলাচল করছে ১০টি ট্রেন (বনলতা, ধূমকেতু, সিল্কসিটি, পদ্মা রাজশাহী এক্সপ্রেস) পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস রংপুর এক্সপ্রেস প্রতিদিন দুবার করে যাতায়াত করছে লাইন দিয়ে। এছাড়া খুলনা থেকে চলাচল করছে দিনে চারটি ট্রেন এবং যশোর থেকে চলাচল করছে আরো দুটি ট্রেন। ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেসও দুবার রেলপথ ব্যবহার করছে। সিরাজগঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস যমুনা এক্সপ্রেস রেলপথটি ব্যবহার করছে প্রতিদিন চারবার। এর বাইরে দুটি লোকাল দুটি পণ্যবাহী ট্রেন রেলপথটি নিয়মিত ব্যবহার করছে। এসব ট্রেনের মধ্যে গত বছরই যুক্ত হয়েছে আটটি ট্রেন। এগুলো হলো বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস, সেমি বিরতিহীন পঞ্চগড় বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগের ট্রান্সপোর্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বণিক বার্তাকে বলেন, চলাচলরত ট্রেনগুলোর শিডিউল, একটি স্টেশন থেকে আরেকটি স্টেশনের দূরত্ব, রেলপথ স্টেশনের অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে একটি রেলপথের সক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়। ১৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঈশ্বরদী-পাকশী সেকশনটি প্রতিদিন ২২টি ট্রেন চলাচলে সক্ষম। কিন্তু বর্তমানে রেলপথটিতে চলাচল করছে ৪২টি ট্রেন। রেলপথের সক্ষমতার চেয়ে বেশি ট্রেন চলাচল করায় সেকশনটির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জটিল হয়ে পড়েছে। পথে ক্রসিং দিতে গিয়ে যাত্রাপথের একটা বড় সময় নষ্ট হচ্ছে ট্রেনগুলোর। ফলে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের অনেক ট্রেনই শিডিউল মেনে চলতে পারছে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিঙ্গেল লাইনে একটি স্টেশন থেকে যখন কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়, তখন পরের স্টেশন পর্যন্ত লাইনটি ব্লক করে দেয়া হয়। অর্থাৎ অন্য প্রান্তের স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছাড়তে দেয়া হয় না। এটাকে রেলওয়ের প্রকৌশলীদের ভাষায় বলা হয় ব্লক সেকশন। কোনো

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন