২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়কালের প্রাক্কলিত ব্যয়ের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৫১ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)। অন্যদিকে প্রাক্কলিত ব্যয়ের ভিত্তিতে বিতরণ ব্যয় ১ টাকা ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)। গতকাল রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত গণশুনানিতে এসব প্রস্তাব দেয় প্রতিষ্ঠান দুটি।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য রহমান মুর্শেদ, মিজানুর রহমান ও মাহমুদ উল হক ভূঁইয়া।
গণশুনানিতে বিআরইবির পক্ষে মূল্যহার সমন্বয়ের প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন। প্রস্তাবনায় নো-লস নো-প্রফিট অবস্থা থেকে বের হওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করে বিআরইবি। এছাড়া সেচ গ্রাহকদের দ্বৈত ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহক শ্রেণী নির্ধারণ, যেসব নির্মাণ সংযোগ স্থায়ী সংযোগে রূপান্তরিত হয় না, সেসব নির্মাণ শ্রেণীর গ্রাহকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ১০ কিলোওয়াটের ঊর্ধ্বে আবাসিক ও শিল্প গ্রাহকদের ওপর পাওয়ার ফ্যাক্টর সারচার্জ আরোপ, দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের গ্রাহক শ্রেণী নির্ধারণ, সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বা পুনঃসংযোগ চার্জ সংশোধন এবং ট্রান্সফরমার ভাড়া ও সময়কাল সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, বেজা কর্তৃক নির্মাণাধীন ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ভৌগোলিক এলাকায় অবস্থিত। তাদেরকে প্রাথমিকভাবে ১১ কেভি ও ৩৩ কেভিতে সংযোগ দেয়া হয়েছে। এসব গ্রাহককে অন্য সংস্থা কর্তৃক ১৩২ কেভি লেভেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে পল্লী বিআরইবির আর্থিক অসচ্ছলতা ও ওঅ্যান্ডএম ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এজন্য সংস্থাটির ১৩২ কেভি লেভেলে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন হবে।
এতে আরো বলা হয়, ২০০৯ সালে বিআরইবির সক্ষমতা ছিল ২ হাজার মেগাওয়াট ও প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি হতো ২৫০ কোটি টাকার। সে সময় সিস্টেম লস ছিল ১৮ শতাংশ। ১১ বছরে গ্রাহক বেড়েছে ২ কোটি ৪ লাখ, সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট ও প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার। গ্রাহক সংখ্যা বাড়লেও সিস্টেম লস ৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমে ১০ দশমিক ৯১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগামী বছরগুলোয় এটি আরো কমিয়ে আনা হবে।
গণশুনানিতে ওজোপাডিকোর পক্ষে প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক 
