১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে পাটকল শ্রমিকরা

বণিক বার্তা অনলাইন

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পি.এফ. গ্রাচ্যুইটির টাকাসহ ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের শ্রমিকেরা।

আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল আটটা থেকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নিজ নিজ পাটকলের সামনে জড়ো হতে থাকেন শ্রমিকেরা। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
 
সমাবেশে প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, “১১ দফা দাবিই কেবল নয়, আমাদের আরও অনেক ক্ষোভ রয়েছে। পাটকল শ্রমিকদের সমস্যা লাঘবে সরকারের কোনো সদিচ্ছা নেই। সরকার বরাবরের মতোই আমাদের ব্যাপারে উদাসীনতা দেখিয়ে আসছে। সত্যি কথা বলতে কী- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এ সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।”

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) খুলনা অঞ্চলের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা বনিজ উদ্দিন মিয়া বলেন, “পাটকল সংশ্লিষ্ট সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করছে সরকার। এখানে আসলে আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা এখানে অবস্থান করছি- কারণ শ্রমিকরা যেনো উত্তেজিত হয়ে পাটকলের কোনো ক্ষতিসাধন না করতে পারে। আমরা তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানাই।”

জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পি.এফ. গ্রাচ্যুইটির টাকাসহ ১১ দফা দাবিতে গতকালও বিক্ষোভ করেছেন পাটকল শ্রমিকেরা। সেসময় তারা খুলনা-যশোর মহাসড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আছে নয়টি। এর মধ্যে খুলনায় আছে সাতটি ও যশোরে দুটি। সেগুলো হলো- ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, দৌলতপুর, খালিশপুর, দিঘলিয়া, আলীম, ইস্টার্ন, কার্পেটিং ও জেজেআই জুট মিল। গত ২৩ নভেম্বর থেকে ১১ দফা দাবিতে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের অন্তত ৩২ হাজার শ্রমিক আন্দোলন করে আসছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন