বর্তমান পাইকারি দর বিবেচনায় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। পাইকারি মূল্য বাড়লে সেটি সমন্বয় করতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। আর ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) বিদ্যমান বিতরণ ব্যয় আগামী বছর ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এসব প্রস্তাব দেয় প্রতিষ্ঠান দুটি।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য রহমান মুর্শেদ, মিজানুর রহমান ও মাহমুদ উল হক ভূঁইয়া।
গণশুনানিতে ডেসকোর পক্ষে মূল্য সমন্বয়ের প্রস্তাব দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহীদ সারোয়ার। তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিস্টেম লস ৭ দশমিক ১১ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এরপর মনে হয় আর খুব বেশি কমানো সম্ভব হবে না। ৬ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হয়তো কঠিন হবে। এর মধ্যে অনেকটা টেকনিক্যাল লোকসান। আবাসিক গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটে ১ টাকা ১২ পয়সা হারে লোকসান হচ্ছে। এ কারণে দাম বাড়ানো প্রয়োজন।
এছাড়া ১৩২ কেভি লেভেলে অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বিবেচনায় ৩৩ কেভি ও ১৩২ কেভি লেভেলে ২০ পয়সা পার্থক্য নির্ধারণের আবেদন করেছে ডেসকো। ২০১৭ সালে বিলুপ্ত হওয়া পাওয়ার ফ্যাক্টর শুদ্ধীকরণ চার্জ পুনর্বহালও চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুনানিতে জানানো হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে ১৫৮ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে ৬৪ কোটি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে ৯৪ কোটি টাকা বকেয়া আছে।
ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন্স) এটিএম হারুণ অর রশিদ বলেন, দুই সিটি করপোরেশনকে বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা না হলে আগামী জানুয়ারিতে তাদের সব বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
দিনের প্রথম ভাগে অনুষ্ঠিত শুনানিতে বিদ্যমান বিতরণ ব্যয় ২০২০ সালে ৪১ পয়সা বাড়িয়ে ১ টাকা ২৪ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে ডিপিডিসি। তবে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে