জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার এটাই সময়

বণিক বার্তা ডেস্ক

শিশুদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে শুরু হওয়া জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের লিডার্স সামিটে দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে প্রতিটি দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জলবায়ুজনিত অরক্ষিত দেশগুলোর জন্য অস্তিত্বের হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। আমরা সম্ভবত আমাদের সময়ের সবচেয়ে কঠিন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঁক অতিক্রম করছি। আমরা যদি শিশুদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের শিশুরা আমাদের ক্ষমা করবে না। খবর বাসস।

স্থানীয় সময় গতকাল সকালে স্পেনের ফারিয়া দা মাদ্রিদে কপ-২৫ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের জন্য একটি কঠিন বাস্তবতা। এটি বর্তমানে মানবজীবন এবং পরিবেশ, প্রতিবেশ প্রাকৃতিক সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। ১৯৯২ সালে ধরিত্রী সম্মেলন শুরু হওয়ার পর আমরা গ্রিনহাউজ গ্যাস হ্রাসের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হইনি। এর নিঃসরণ এখনো বাড়ছে। প্রবণতা বিশ্বের জন্য এখনো টেকসই নয়।

শেখ হাসিনা বলেন, মোকাবেলার সীমিত সক্ষমতা সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে আমাদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির ধকল বয়ে বেড়াচ্ছি, অথচ এক্ষেত্রে আমাদের যৎসামান্য অথবা কোনো দায়ই নেই। এটা একটা মারাত্মক অবিচার। বিশ্বসম্প্রদায়কে এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। মালেতে ২০০৯ সালের নভেম্বরে ফোরামের প্রথম বৈঠকের পর থেকে বৈশ্বিক জলবায়ু ভূপৃষ্ঠের যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। হতাশার বিষয় হলো, ইউএনএফসিসিসি প্রক্রিয়ার আওতায় অগ্রগতি খুবই ধীর অত্যন্ত অপ্রতুল। বিশেষত আমাদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে জাতীয়ভাবে দৃঢ় অভিযোজন উদ্যোগের সমর্থনে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ এখনো কঠিন বিষয়। যেসব দেশ এরই মধ্যে যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে, বিশেষত সেসব দেশের ক্ষেত্রে শর্ত ক্রাইটেরিয়াসহ তহবিল এবং প্রযুক্তির সরাসরি সহজ প্রাপ্তি সহায়ক হতে পারে। আমাদের মতো সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, যেগুলোকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন, সেসব দেশ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছে না।

অভিযোজন প্রচেষ্টা জোরদার করতে নেদারল্যান্ডসে ২০২০ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলনের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সদস্যরা যদি বিষয়ে আমাদের সম্মান জানাতে সদয় হন, তবে বাংলাদেশ ফোরামের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত রয়েছে। মার্শাল

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন