কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল

দূরযাত্রা ও পণ্য পরিবহনে গতি এনেছে ঘোড়ার গাড়ি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম

 উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ১৬টি নদ-নদী এসব নদ-নদীর অববাহিকায় জেগে ওঠা চার শতাধিক চরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি বসবাস করছে বহু মানুষ বরাবরই এসব চরবাসীর প্রধান সমস্যা ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গেলে চরগুলো ধুধু বালুচরে পরিণত হলে হেঁটে চলা ছাড়া তাদের কোনো উপায় থাকত না অবস্থায় ছয়-সাত বছর আগে প্রচলন ঘটে ঘোড়ায় টানা গাড়ির, যা চরাঞ্চলে দূরের পথ পাড়ি দেয়া কিংবা ফসল পরিবহন অনেকটাই সহজ করে দেয়

সরেজমিন সদর উপজেলার চরযাত্রাপুরে দেখা মেলে বেশকিছু ঘোড়ার গাড়ির গাড়িতে করেই কেউ দুর্গম বালুপথ পাড়ি দিচ্ছেন, কেউ পরিবহন করছেন কৃষিপণ্য মোটা টায়ারের চাকা দিয়ে তৈরি গাড়ি অনায়াসেই বালির ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে আর হাট-বাজার করাসহ দূরে কোথাও যেতে গাড়িই হয়ে উঠেছে চরবাসীর ভরসাস্থল

ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে উলিপুরের বেগমগঞ্জের জাহাজের আলগা চর থেকে ১০ বস্তা ধান নিয়ে যাত্রাপুর হাটে যাচ্ছিলেন মজিবর রহমান মেম্বার নৌকায় নদ পেরিয়ে এপারে এসে ধান পরিবহনের জন্য তিনি ভাড়া করেন দুটি ঘোড়ার গাড়ি সময় তিনি বলেন, বালিপথে যন্ত্রচালিত ভারী কোনো যানবাহন চলাচলের উপায় নেই তবে ঘোড়ার গাড়িতে করে সহজেই তিনি ধান পরিবহন করছেন গাড়ি না থাকলে তাকে শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে ধান বাজারে নিতে হতো এতে খরচ বেড়ে যেত কয়েক গুণ

পুরো উত্তরবঙ্গের চরাঞ্চলের মধ্যে যাত্রাপুর সব থেকে বড় হাট ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় হাটে জেলার অধিকাংশ চরবাসী তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন একই সঙ্গে এখান থেকেই কিনে নিয়ে যান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তাছাড়া হাটে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা চরবাসীর উৎপাদিত ফসল কিনে থাকেন ফলে সবদিক থেকেই কুড়িগ্রামের চরবাসীর কাছে হাটটির গুরুত্ব অনেক আর হাটকে কেন্দ্র করে পাঁচ শতাধিক মানুষ ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন

যাত্রাপুর হাটের কাঠ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, তার -মিলে প্রতিদিন চরাঞ্চলের মানুষ গাছ নিয়ে এসে চেরাই করে নিয়ে যান এই গাছ কাঠ পরিবহনের ক্ষেত্রেও একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি

একাধিক ঘোড়ার গাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সাধারণত মাইক্রোবাসের পুরনো চাকা দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করেন প্রতিটি গাড়ি

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন