হুমায়রা অন্তরা শিফার হাত ধরে কারাতে থেকে প্রথম পদক জয়ের দিনে সব আলো কেড়ে নিলেন দীপু চাকমা। তায়কোয়ান্দো পুমসে ইভেন্টে স্বর্ণজয় করেন রাঙামাটি থেকে উঠে আসা সেনাবাহিনীর এ অ্যাথলিট।
হুমায়রা অন্তরা নারীদের ব্যক্তিগত কাতা ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জয় করেন। ছেলেদের ব্যক্তিগত কাতা ইভেন্টে প্রত্যাশিত সাফল্য পাননি হাসান খান সান। স্বর্ণ ও রুপার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ব্রোঞ্জপদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ২০১০ সালের এসএ গেমসের স্বর্ণজয়ীকে।
দুই কারাতেকার পদকের আলো ম্লান করে দিয়ে কাঠমান্ডুর সাতদোবাতো ক্রীড়া কমপ্লেক্সে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ান দীপু চাকমা। ৮.১১০ স্কোর গড়ে ঊর্ধ্ব-২৯ বয়স ক্যাটাগরিতে নিজেকে সবার উপরে তুলে নেন এ অ্যাথলিট। পদক জয়ের পথে শ্রীলংকার লক্ষণের সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় তার। ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন নেপালের রেজিন রিমাল ও ভারতের গ্যাফুং।
স্বর্ণ জয়ের পর উচ্ছ্বসিত দীপু চাকমা বলেন, ‘একসময়কার দেশের শীর্ষ খেলোয়াড় মিজানুর রহমানকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি তায়কোয়ান্দো খেলতে এসেছি। আমার স্বপ্ন ছিল দেশের পতাকা তুলে ধরার। সে স্বপ্নটা আজ সত্যি হয়েছে।’ যোগ করেন, ‘২০০৫ সালে সেনাবাহিনীতে আসার পর পত্রিকায় দেখেছি মিজানুর রহমান তায়কোয়ান্দো থেকে স্বর্ণপদক জিতেছেন। সেই থেকেই মনের গভীরে স্বর্ণপদকের বীজ বুনেছিলাম। আজ তা পূর্ণতা পেল।’