জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতে দীর্ঘদিন ধরে উত্তোলন ও সরবরাহ কমিয়ে আনছে ওপেক প্লাস। এর মধ্যে অনেক দেশ চুক্তির বাইরে গিয়ে উত্তোলন কম-বেশি করেছে। তবে ওপেকের অন্যতম দেশ নাইজেরিয়া চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলন ও সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জোটের বৈঠক থেকে নতুন করে উত্তোলন কমিয়ে আনার প্রস্তাব এলেও সেটিও শতভাগ মেনে চলতে নাইজেরিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সম্প্রতি দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী তিমিপ্রে সিলভা এ তথ্য জানান। খবর রয়টার্স।
নাইজেরিয়ার পেট্রোলিয়াম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
তিমিপ্রে সিলভা জানান, গত আগস্ট থেকে জোটের মধ্যেকার চুক্তি পুরোপুরি মেনে জ্বালানি তেলের উত্তোলন ও সরবরাহ করছে তার দেশ। ওপেক সদস্য দেশগুলো অনেকে চুক্তির বাইরে গিয়েও উত্তোলন করেছে। কিন্তু নভেম্বরে নাইজেরিয়া শতভাগ চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলন করেছে, যা জ্বালানি তেলের বাজার স্থিতিশীল করতে সহযোগিতা করেছে।
সরবরাহ কমিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য জ্বালানি তেলের রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও ওপেকবহির্ভূত দেশগুলো নিয়ে গঠিত হয় ওপেক প্লাস জোট। যার নেতৃত্বে রয়েছে যথাক্রমে সৌদি আরব ও রাশিয়া। জোটের মধ্যেকার চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন ১২ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনছে জোটটি। এর মধ্যে কেবল ওপেক জোটকে কমাতে হচ্ছে আট লাখ ব্যারেল। তবে উত্তোলন ও সরবরাহ কমিয়ে আনলেও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলসহ এ জোটের বাইরের দেশগুলোর সরবরাহ বাড়ায় বাজার চাঙ্গা করতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে জোটটি। এ অবস্থায় জোটটির মন্ত্রী পর্যায়ে আসন্ন বৈঠককে সামনে রেখে উত্তোলন হ্রাসের সময়সীমা ও পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।