উদ্যোক্তাদের সহায়তায় আরো সংস্কারের আশ্বাস মোদি সরকারের

বণিক বার্তা ডেস্ক

আপনারা সমস্যার কথা জানান, আমরা সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে তা সমাধান করব’—গত শনিবার ভারতের মুম্বাইয়ে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের তিন শীর্ষ নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বাণিজ্যমন্ত্রী পীয়ূষ গয়াল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

শনিবার অনুষ্ঠিত হয় ইকোনমিক টাইমস অ্যাওয়ার্ডস ফর করপোরেট এক্সিলেন্স, ২০১৯। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির শিল্প খাতের প্রায় সব শীর্ষ উদ্যোক্তা। আলোচনায় উঠে আসে ভারতের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা। বলতে গেলে এবারই প্রথমবারের মতো মোদি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মুখে শ্লথগতির কথা উঠে এল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ভারতের জিডিপির ৬০ শতাংশ আপনারা। আপনাদের সমর্থন ছাড়া ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হওয়ার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে শীর্ষ উদ্যোক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুকেশ আম্বানি, এন চন্দ্রশেখরন, কুমার মঙ্গলম বিড়লা, সুনীল মিত্তাল, রাহুল বাজাজ, উদয় কোটাক অনিল আগারওয়াল।

অমিত শাহ বলেন, গত পাঁচ বছরে অর্থনীতি থেকে দূষিত উপাদান বের করে দেয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার এবং আগামী পাঁচ বছর ধারাবাহিকভাবে এমনসব সংস্কার পদক্ষেপ নেয়া হবে, যা ভারতকে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী দেশে পরিণত করবে।

ভারতকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়ে অমিত শাহ বলেন, বেশির ভাগ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান ২০১৪ সালের ১৪২ থেকে উন্নীত হয়ে চলতি বছর ৭৭তম হয়েছে। এবং তিনি আরো জানান, র্যাংকিংয়ে ২০২৪ সালে ভারতের অবস্থান হবে ত্রিরিশের মধ্যে।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। চীন ছাড়তে যাওয়া কোম্পানিগুলোকে ভারতে টেনে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে করপোরেট কর ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।

টাইমস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনিত জেইন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সরকার যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অবকাঠামো খাত, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস, স্বাস্থ্য শিক্ষা খাতে আরো বেশকিছু সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আমরা আশা করছি।

কেন্দ্রের বাণিজ্য রেলপথমন্ত্রী পীয়ূষ গয়াল উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার এমনকি সরকারি কোনো সংস্থার কাছ থেকে তারা যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে তাকে যেন তা জানানো হয়।

ভারতের প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনীতিবিদরা একে নোট বাতিল ত্রুটিপূর্ণ জিএসটির ফল বলে দাবি করছেন। তবে শিল্পোদ্যোক্তারা কখনো সরাসরি সরকারকে দায়ী করেনি।

চলতি বছর বিজনেস লিডার অব দ্য ইয়ার হয়েছেন হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের চেয়ারম্যান সঞ্জীব মেহতা। তিনি বলেন, ভারত বিনিয়োগের জন্য দারুণ জায়গা। বেশির ভাগ লোক ইউনিলিভারকে এখানকার কোম্পানি বলে মনে করে। কেননা আমরা ভারতের মানুষের

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন