নির্ঝরের ৯ সিনেমার নেপথ্য কথা

রুবেল পারভেজ

মালাকিছু ফুল একটার পর একটা সুতোয় গাঁথা। তাল, লয়, ছন্দের অনবদ্য দ্যোতনাকে সঙ্গী করে মালা গাঁথার মতোই একটা ঐকতান তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থপতি নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝর। একেবারে চুপচাপ, নীরব থেকে স্থাপত্য, গান আর সিনেমার মতো বিষয়কে একটু অন্যভাবে সাজানোর প্রতিজ্ঞা নিয়ে আলোচিত ছবি আহা নির্মাণ করেছিলেন। ১২ বছর পর সম্প্রতি নির্মাতা ঘোষণা দিয়েছেন নয়টি চলচ্চিত্র নির্মাণের। এর পেছনের কারণ, উদ্দেশ্য কী? টকিজের কাছে নিজ বয়ানে এসব খোলাসা করলেন তিনি...

দেশকে এতকাল কী দিলাম?

আমার জন্ম ১৯৬২ সালে, আর আমার জন্মভূমির জন্ম ১৯৭১ সালে। বয়সের হিসাবে দেশের চেয়ে আমি নয় বছরের বড়। স্বাধীন দেশটি আমাকে বুকে আগলে রাখলেও এতকাল আমি দেশকে কী দিলাম? এতদিন পর এসে আমার বোধোদয় হয়েছে, আমি আমার দেশের ৫০ বছর পূর্তি সামনে রেখে কিছু কাজ করতে চাই। প্রিয় জন্মভূমিকে এমন কিছু দিতে চাই, যা ধারণ করে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে যাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। এমন চিন্তা থেকেই স্থাপত্য, গান-সিনেমার মতো সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত হয়েছি।

সৃষ্টিতে কোনো আপস নয়...

উদযাপনের নামে এখন যে ভণ্ডামি হয়, তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সবাই ভুলে গেছে। মূল্যবোধ বলে এখন আসলে কিছু নেই। সৃজনশীল চর্চায় নৈতিকতার বিষয়টি এখন আর মুখ্য নয় বেশির ভাগের কাছেই। কারণে ছবি বানানোর উদ্যোগ নেয়ার সময় আমার বিবেক আমাকে প্রশ্ন করেছে, ‘একজন ব্যাংক ডাকাতের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছবি করবে কেন? কেন এমন কারো কাছে যাবে, যে কিনা আমাদের পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে নষ্ট করে দিয়েছে, টেলিভিশন চ্যানেল দিয়ে সবকিছুকে কুক্ষিগত করে রেখেছে?’ এরপর সিদ্ধান্ত নিই আমি স্থাপত্য পেশা থেকে যে অর্থ আয় করি, তা দিয়েই ছবি বানাব। তবু কারো শর্তপূরণ করব না।

লক্ষ্য আমার যাদের ঘিরে

আমার অভিজ্ঞতা বলে তরুণ প্রজন্ম দেশকে ভালোবাসে, দেশের জন্য ওরা জীবন দেয়ার মানসিকতা রাখে। আমাদের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন ওরা। কিন্তু ওদেরকে লক্ষ্য রেখে কেউ কিছুই করছে না। আমার মনে হয়েছে, আমরা যে প্রায় ৫০ বছর পার করে ফেলছি, জার্নিতে তো অসংখ্য ঘটনা-দুর্ঘটনা, ইতিহাস আছে, যা তরুণরা জানে না। এজন্য আমি প্রজন্মের জন্য ছবিগুলো বানাব বলে ঠিক করি। শুধু তা- নয়, আমার স্বপ্নপূরণের সারথিও ওরা। আমার প্রতিটি কাজে আমার সহসঙ্গী হিসেবে তরুণ প্রজন্মই আছে। তাছাড়া এতে বড়রা আসবে কেন, কারণ কাজগুলোয় বিশেষ করে চলচ্চিত্রে তো বড়দের সমস্যাই দেখানো হয়েছে। তো নিজের ভুল কি আর কেউ দেখতে চাইবে!

তারাই ছবির কারিগর

ছবি বানাতে গিয়ে ভেবেছি, কীভাবে কাজটি করলে সহজভাবে করতে পারব। এরপর কলাকুশলী, অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রযুক্তি জোগাড় করলাম, তাদের প্রশিক্ষণ দিলাম, অভিনয় করালাম। প্রকল্পের প্রথম ছবি ব্যাপার বানানোর পর মনে হলো, বাহ! প্রফেশনাল অভিনেতা অভিনেত্রী

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন