চা উৎপাদনে অন্যতম শীর্ষ দেশ কেনিয়া। চলতি বছর প্রথম নয় মাসে দেশটির চা উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। তবে এ সময় দেশটি থেকে চায়ের রফতানি বেড়েছে।
দেশটির টি ডিরেক্টরেট থেকে প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর স্ট্যান্ডার্ড মিডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৭ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা রফতানি হয়েছে। যেখানে গত বছরের একই সময় দেশটির রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার কেজির মতো।
অন্যদিকে এ সময় দেশটিতে চায়ের উৎপাদন ছিল ৩১ কোটি ৬৮ লাখ কেজি। যেখানে গত বছরের একই সময়ে উৎপাদন ছিল ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার কেজি। সে হিসাবে চায়ের উৎপাদন কমেছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। মূলত বছরের শুরুতে দেশটিতে নিম্নবৃষ্টিপাত ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করায় পানীয় পণ্যটির উৎপাদন কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেনিয়ার চা শিল্পের নিয়ন্ত্রক এ সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, কেবল সেপ্টেম্বরে ৪২টি দেশে চা রফতানি করেছে কেনিয়া। যেখানে গত বছরের একই সময় দেশটির চায়ের গন্তব্য ছিল ৩৮টি বাজারে। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে চারটি নতুন দেশে চা রফতানি করতে সক্ষম হয়েছে কেনিয়া।
তবে নয় মাসে সম্মিলিতভাবে কেনিয়ার চা রফতানি বাড়লেও একক মাস হিসেবে গত বছরের তুলনায় সেপ্টেম্বরে কমেছে ১৪ শতাংশ, যা দেশটির চায়ের অন্যতম ভোক্তা দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের বিষয় ছিল।
অন্যদিকে কেবল সেপ্টেম্বরে কেনিয়ায় চায়ের উৎপাদন কমেছে ১৬ শতাংশ। এ সময় কেনিয়ার চায়ের অন্যতম আমদানিকারক হিসেবে পাকিস্তান তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
দেশটি থেকে রফতানি হওয়া চায়ের ৩৫ শতাংশ এককভাবে আমদানি করে পাকিস্তান। কেবল সেপ্টেম্বরেই দেশটির বাজারে ১ কোটি ২৮ লাখ টন চা রফতানি করেছে কেনিয়া।
এর বাইরে জাপান, তুরস্ক ও নাইজেরিয়ার মতো চায়ের উদীয়মান বাজারগুলোতেও কেনিয়ার রফতানি বেড়েছে।
