কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল বিকালে রাজারহাট উপজেলা শহরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুটি গ্রুপ প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করে। গতকাল সকালে রাজারহাট কারিগরি বাণিজ্যিক কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নুর মো. আক্তারুজ্জামানের পক্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী ও উপজেলা সভাপতি আব্দুস ছালাম চাষীর সমর্থকরা সম্মেলনে অংশ নিতে গেলে সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ তাদের প্রবেশে বাধা দেয়। পরে চাষী আব্দুস ছালাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী গ্রুপের নেতাকর্মীরা উপজেলা শহরে সোনালী ব্যাংক চত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস ছালাম চাষী বলেন, আমি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি থাকা সত্ত্বেও আমাকে বাদ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক নিজেই পুনরায় সিলেকশনে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। কিন্তু সেটা নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। এজন্য আরেকটি সম্মেলন করে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেছে উপজেলার নেতাকর্মীরা। কিন্তু সেখানেও পুলিশ দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবু নুর মো. আখতারুজ্জামান জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই জেলা নেতাকর্মীদের পরামর্শে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমার প্রতিদ্বন্দী না থাকায় পুনরায় নির্বাচিত হয়েছি। বিরোধী গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেও জানান।
এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার ওসি কৃষ্ণ কুমার জানান, একটি পক্ষের নেতাকর্মী সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
