চীনভিত্তিক বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক খতিয়ানে প্রতিষ্ঠানটির স্মার্টফোন ব্যবসা বিভাগের রাজস্বে ভাটা পড়তে দেখা গেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শাওমির স্মার্টফোন ব্যবসা বিভাগের রাজস্ব ৪৬০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা এক বছর আগের একই প্রান্তিকের চেয়ে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ কম। খবর টেকক্রাঞ্চ।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শাওমির মোট রাজস্ব ৭৬৫ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মোট ৭৩৯ কোটি ডলার রাজস্বের চেয়ে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। গত প্রান্তিকে শাওমির রাজস্ব এ-যাবত্কালের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্বে স্মার্টফোন ব্যবসা বিভাগের গুরুত্ব কমেছে। শাওমির রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে উঠেছে ইন্টারনেট অব থিংস বা আইওটি এবং স্মার্টহোম ব্যবসা বিভাগ।
শাওমির উত্থান স্মার্টফোন ব্যবসা দিয়ে। শুরু থেকেই এর স্মার্টফোন ব্যবসা বিভাগের গ্রাহক বাড়ছিল দ্রুত। বিভাগটির কল্যাণে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয়েও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। এবারই প্রথম প্রতিষ্ঠানটির রাজস্বে স্মার্টফোন ব্যবসা বিভাগের গুরুত্ব কমতে দেখা গেল।
শাওমির আর্থিক খতিয়ান অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির স্মার্টফোন ব্যবসা বিভাগের রাজস্ব ৪৬০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা এক বছর আগের একই প্রান্তিকের চেয়ে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ কম। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে শাওমির স্মার্টফোন সরবরাহ ৩ কোটি ২১ লাখ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। চীনের স্মার্টফোন বাজারের মন্দা চাহিদাকে স্মার্টফোন সরবরাহ কমার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে চীনের স্মার্টফোন বাজার ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। স্থানীয় বাজারে চাহিদা ঘাটতির মধ্যেও শাওমি স্মার্টফোন ব্যবসা বিভাগের গ্রস প্রোফিট মার্জিন চলতি বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের ৮ দশমিক ১ ও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ শতাংশে পৌঁছানোর দাবি করেছে।
চীনের স্মার্টফোন বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে হুয়াওয়ে। এ প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সবগুলো স্মার্টফোন নির্মাতারই চীনে ডিভাইস সরবরাহ কমেছে।
বিশ্লেষকদরে ভাষ্যে, চীনে ডিভাইস সরবরাহ কমে যাওয়া শাওমির জন্য বড় সমস্যা নয়। গত বছর পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তর হয়েছে শাওমি। এর পর থেকে ব্যবসা পরিসর বাড়াতে জোর দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। শাওমি যেসব খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণে জোর দিচ্ছে, সেগুলোর তালিকায় রয়েছে হার্ডওয়্যার, বিজ্ঞাপন প্রদর্শন ও ইন্টারনেট সেবা বিক্রি।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন (আইডিসি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টানা কয়েক বছরই বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে মন্দা চলছে। চলতি বছর শেষে এ মন্দা আরো জোরালো হতে পারে। তবে চাহিদার ক্ষেত্রে মন্দা বজায় থাকলেও অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন সরবরাহ বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। চলতি বছর স্মার্টফোনের বাজার হিস্যার ৮৬ শতাংশের বেশি অ্যান্ড্রয়েডের
দখলে যাবে। বিপরীতে বছর শেষে কমতে পারে আইফোন বেচাকেনা। মূলত বিশ্বজুড়ে ফাইভজি সমর্থনযোগ্য স্মার্টফোনের চাহিদা বৃদ্ধি আইফোনের চাহিদা কমার কারণ হবে। তবে টানা তিন