২০২০ সাল

ব্রাজিলের কফি উৎপাদন সর্বোচ্চে পৌঁছবে

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০১৮ সালে ইতিহাসের সর্বোচ্চ কফি উৎপাদন করেছিল ব্রাজিল। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংকিং আর্থিক সেবা কোম্পানি রাবোব্যাংক সম্প্রতি পূর্বাভাস করেছে, ২০২০ সালে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন বেড়ে আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। খবর রয়টার্স।

রাবোব্যাংকের তথ্য অুনযায়ী, ব্রাজিলের কৃষকরা প্রত্যাশা করছে, আগামী বছর তারা মোট কোটি ৬৭ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি উৎপাদন করতে পারবেন।

তবে এবার দেশটিতে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন কিছুটা কমে আসবে। প্রতিষ্ঠানটির কফি বিশ্লেষক বলেন, সেপ্টেম্বর অক্টোবরে দেশটির প্রধান কফি উৎপাদনকারী অঞ্চলের কয়েকটি অংশে প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে খরা ভাব বিরাজ করছে। এতে এবার ব্রাজিলে কফি উৎপাদন কমবে।

চলতি বছর বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশটি সব মিলিয়ে কোটি ৭৬ লাখ ব্যাগ কফি উৎপাদন করতে পারে। আগের বছর দেশটি মোট কোটি ২৬ লাখ টন কফি উৎপাদন করে রেকর্ড করেছিল।

ব্রাজিলে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় অ্যারাবিকা কফি। রাবোব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছর দেশটিতে মোট কোটি ৫৯ লাখ ব্যাগ অ্যারাবিকা কফি উৎপাদিত হবে। এবার উৎপাদন দাঁড়াতে পারে কোটি ৮১ লাখ ব্যাগে। এদিকে ২০২০ সালে দেশটিতে রোবাস্তার উৎপাদন দাঁড়াতে পারে কোটি লাখ ব্যাগ। চলতি বছর জাতের কফির উৎপাদন প্রাক্কলন করা হয়েছে কোটি ৯৫ লাখ টন।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে টানা মন্দা ভাব কাটিয়ে নিউইয়র্ক আদর্শ বাজারে সম্প্রতি অ্যারাবিকার দাম বাড়তে শুরু করেছে। ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশে বিরাজমান স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি খরায় উৎপাদন হ্রাস মানসম্মত কফির অভাব এর পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। খাতসংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী বছর নিউইয়র্ক আদর্শ বাজারে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি পাউন্ড কফির দাম বেড়ে ডলার ২২ সেন্টের ওপরে উঠবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন