বেদখল বরেন্দ্র অঞ্চলের ১৪ হাজার খাস পুকুর

সাইদ শাহীন

নওগাঁ সদর উপজেলার বরুণকান্দি সরদারপাড়ার প্রায় দুই বিঘা আয়তনের খাস পুকুরটি এখন সোনালী দিন যুব সংঘ নামে একটি ক্লাবের দখলে। ২০১৪ সালে পুকুরটি দখলে নিয়েছে ক্লাবটি। স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের লক্ষ্যে পুকুরের একাংশ দখল করে চলছে আরসিসি পিলার তৈরির কাজ। বাকি অংশে চলছে মাছ চাষ। কোনো রকম ইজারা ছাড়াই খাস পুকুরটি ভোগদখল করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

একই উপজেলার বলিহার ইউনিয়নে একর ৩৮ শতাংশ আয়তনের আরো একটি খাস পুকুরও ভোগদখল করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হামিদুল ইসলাম। উপজেলার কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের জালম গ্রামের একর শতাংশ আয়তনের তেলিপুকুরটি দখলে রেখেছেন পৌর কর্মচারী মুকুল। খাস পুকুর দখলের এমন মহোৎসব চলছে জেলাজুড়ে। এরই মধ্যে বেদখল হয়ে গেছে নওগাঁর হাজার ৩০৭টি খাস পুকুর।

শুধু নওগাঁ নয়, বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যান্য জেলা তথা রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জেও ধরনের ঘটনা ঘটছে। ভূমি কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বেদখল কিংবা ভরাট হয়ে গেছে তিন জেলার ১৪ হাজার ১৯৭টি খাস পুকুর। এর মধ্যে রাজশাহীতে হাজার ৩৬৮ চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাজার ৫২২টি পুকুর রয়েছে।

যদিও অকৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা বন্দোবস্তের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে সরকারের। ১৯৯৫ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা -সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়েছে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মত্স্য খামার স্থাপনের জন্য সরকারি খাস পুকুর দীর্ঘমেয়াদে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। তবে বন্দোবস্তের প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে বা যথাযথভাবে পরিচালিত না হলে বন্দোবস্ত বাতিল করা হবে। যদিও সরকারকে রাজস্ব না দিয়েই সরকারি খাস পুকুর ভোগদখল করছে অনেকে। এমনকি তা ভরাট করে স্থাপনাও নির্মাণ করা হচ্ছে।

সরকারি পুকুর বেদখলের এমন ঘটনা আছে নাটোরেও। সরকারকে সামান্য কিছু ফি দিয়ে নব্বইয়ের দশক থেকে ২১৭ নং খতিয়ানের ৬০৮ দাগের ৬১ শতক পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিলেন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার চেউখালী গ্রামের পুরান মন্ডলের ছেলে মান্নান মন্ডল। ২০০৭ সালে তার কাছ থেকে পুকুরটি কেড়ে নেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এর পর থেকে সরকারের কোষাগারে কোনো ধরনের অর্থ না দিয়েই জোরপূর্বক খাস পুকুরটি ভোগদখল করছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীদের দখলে থাকা তিনটি খাস পুকুর গতকাল উদ্ধারও করেছে স্থানীয় ভূমি অফিস।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেদখল হওয়া এসব পুকুর উদ্ধার করে খনন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন