পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ছেলে এহসানুল
করীমের কাছে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৮ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার
হস্তান্তর সম্পন্ন করেছেন কোম্পানিটির অন্যতম উদ্যোক্তা পরিচালক গোলাম মুর্শেদ।
স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়মিত লেনদেন কার্যক্রমের বাইরে ছেলেকে উপহার হিসেবে এ লেনদেন
সম্পন্ন করেছেন তিনি। এহসানুল করীম ন্যাশনাল পলিমারের একজন সাধারণ শেয়ারহোল্ডার।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য
শেয়ারহোল্ডারদের ২২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ন্যাশনাল পলিমার। আলোচ্য সময়ে
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয়
(ইপিএস)
হয়েছে ৪ টাকা ২৫ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট
সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৯৮ পয়সা।
এদিকে ১৫ টাকা দরে ১আর: ১
অনুপাতে (বিদ্যমান প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে একটি) রাইট শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি।
এক্ষেত্রে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের পাশাপাশি প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে ৫ টাকা। রাইট
শেয়ার ইস্যুর আগে কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ
অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের
(বিএসইসি)
অনুমোদন নিতে হবে।
প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে
রাইট শেয়ার ইস্যু করলে কোম্পানিটির রাইট শেয়ারের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯১
হাজার ৮৩৫। প্রতিটি রাইট শেয়ার ১৫ টাকা দরে কোম্পানিটি বাজার থেকে উত্তোলন করবে ৫৪
কোটি ৭৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫২৫ টাকায়। বিএসইসির অনুমোদন পেলে ন্যাশনাল পলিমারের রাইট
শেয়ার-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন দাঁড়াবে ৯১ কোটি ২২ লাখ ৯২ হাজার ৪৬৫ টাকা।
বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৯ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের
জন্য ২২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ন্যাশনাল পলিমার। সে বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩
টাকা ২৪ পয়সা। তার আগে ২০১৭ ও ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ
পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল
ন্যাশনাল পলিমার শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৭০ টাকা ৫০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ৭০ টাকা
৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৬৪ টাকা ও ১৩৩
টাকা ৯০ পয়সা।