স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড গড়ার উৎসবের মধ্য দিয়ে টি২০ সিরিজে সমতায় ফিরেছে ইংল্যান্ড। গতকাল নেপিয়ারে ডেভিড মালান ও ইয়োন মরগানের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ৭৬ রানের ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড। এ জয়ের সুবাদে সিরিজে এখন ২-২ সমতা। আগামীকাল রোববার অকল্যান্ডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে এই দুদল।
গতকাল সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচটিকে ছেলেখেলায় পরিণত করেন মালান ও মরগান। এ দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। টি২০ ক্রিকেটে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া মালান অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। তার ৫১ বলের ইনিংসটিতে নয়টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ছয়টি ছক্কার মার। অধিনায়ক মরগানের ৯১ রান এসেছে মাত্র ৪১ বলের কনকর্ডে চড়ে। জবাবে ১৬৫ রানে শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
মালান-মরগানের রেকর্ডের উৎসবে টি২০ ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয়টি তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। আর এটা করার পথে টি২০ ক্রিকেটে নিজেদের সবচেয়ে বড় ইনিংসটিও দাঁড় করিয়েছে ইংল্যান্ড। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এর আগে তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ২৩০। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে এই রেকর্ডটি গড়েছিল ইংলিশরা।
দলীয় রেকর্ডের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন মালান ও মরগান। টি২০ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন মালান। মাত্র ৪৮ বলে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান মালান। এর আগে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল অ্যালেক্স হেলসের। ২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন হেলস। এদিকে মাত্র ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হলেও ইংল্যান্ডের পক্ষে টি২০ ক্রিকেটে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন মরগান। মাত্র ২১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ইংলিশ অধিনায়ক।
রেকর্ডের দিনে জুটির রেকর্ডটিও নিজেদের করে নিয়েছেন মালান-মরগান। তৃতীয় উইকেটে ১৮২ রান সংগ্রহ করেন এ দুজন। এটা টি২০ ক্রিকেটে যেকোনো উইকেটে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এতদিন এ রেকর্ডের মালিকানা ছিল হেলস ও রবি বোপারার। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন এ দুজনে।
ইংলিশদের এ রেকর্ডের ভার নিয়ে বেশিদূর এগোতে পারেনি কিউরা। ১৬.৫ ওভারেই ইনিংস শেষ হয়েছে তাদের। ক্রিকইনফো