চীনভিত্তিক হুয়াওয়ে বিশ্বের বৃহৎ নেটওয়ার্ক গিয়ার নির্মাতা। এরই মধ্যে অ্যাপলকে হটিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতার তকমাটিও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত কয়েক দশকে হুয়াওয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির মধ্যে এক প্রকার আড়ালেই ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই। তবে প্রতিষ্ঠানটির ওপর মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নেমে আসার পর বারবার প্রযুক্তি বিশ্বের সামনে এসেছে তার নাম। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তার এবং হুয়াওয়ের জন্য কঠিন সংকট নয়।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক আর্মি প্রকৌশলী রেন ঝেংফেই বলেন, তার একটি অপ্রকাশিত শৈশব রয়েছে। তীব্র দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তিনি। হুয়াওয়ে ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, হুয়াওয়ের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে অনেক পরিশ্রম রয়েছে। আমরা পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থান সৃষ্টি করেছি। এ চলার পথে আমাদের অর্থনৈতিক নানা সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটি পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ ছিল ভিন্ন। আমরা সেগুলো মোকাবেলা করেছি।
রেন ঝেংফেই এবং তার প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ মোকাবেলায় এরই মধ্যে এক দশক পার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, হুয়াওয়ে চীন সরকারের হয়ে মার্কিন নাগরিকদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যদিও নিজেদের দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেনি যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বের কয়েকটি বড় টেলিকম বাজারে চাপে রয়েছে হুয়াওয়ে।
অবশ্য রেন ঝেংফেইয়ের ভাষ্যে, হুয়াওয়ে শুরু থেকে নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। তবে সাক্ষাত্কারে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কর্মীদের মনোবল নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।