ইউরোপীয় অর্থনীতি টানা সপ্তম বছরের মতো সম্প্রসারণের পথে রয়েছে। এছাড়া ২০২০ ও ২০২১ সালেও অঞ্চলটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি সম্প্রসারণ হবে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছে। তবে বাহ্যিক পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে ওঠায় এবং অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি ও আগামী দুই বছরের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন (ইসি)। খবর সিনহুয়া।
এক প্রতিবেদনে ইসি ২০১৯ সালে ইউরো অঞ্চলের জিডিপি ১ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে, যা জুলাইয়ে প্রকাশিত পূর্বাভাসের তুলনায় দশমিক ১ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২ শতাংশ সম্প্রসারিত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইসি, যা জুলাইয়ে প্রকাশিত পূর্বাভাসের তুলনায় দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। জুলাইয়ে ২০১৯ সালে ১ দশমিক ২ শতাংশ ও ২০২০ সালে ১ দশমিক ৪ শতাংশ সম্প্রসারণের পূর্বাভাস করা হয়েছিল।
সামগ্রিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ক্ষেত্রে ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে জিডিপি ১ দশমিক ৪ শতাংশ সম্প্রসারিত হবে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছে। তবে জুলাইয়ে ২০২০ সালে ১ দশমিক ৬ শতাংশ সম্প্রসারণের পূর্বাভাস করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে ইসি জানায়, ইউরোপীয় অর্থনীতি টানা সপ্তম বছরের মতো সম্প্রসারণের পথে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজার শক্তিশালী রয়েছে এবং বেকারত্বের হারও কমছে। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতি ও উচ্চ অনিশ্চয়তা এ অঞ্চলের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এছাড়া এরই মধ্যে খাতটি কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে ইউরোপীয় অর্থনীতি ক্রমাগত নিস্তেজ প্রবৃদ্ধি ও দুর্বল মূল্যস্ফীতির একটি প্রলম্বিত পর্যায়ের দিকে এগিয়ে চলেছে।
কমিশন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য উত্তেজনা এবং উচ্চমাত্রার নীতি অনিশ্চয়তা, বিশেষ করে বাণিজ্যনীতি ঘিরে অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ, ম্যানুফ্যাকচারিং ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এতে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির দুর্বলতা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপের প্রবৃদ্ধি অনেকটাই স্থানীয় খাতগুলোর শক্তিমত্তার ওপর নির্ভর করবে।
ইসির ইউরো ও সোস্যাল ডায়লগ-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডম্ব্রভস্কিস বলেন, এখন পর্যন্ত ইউরোপের অর্থনীতি তুলনামূলক প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও স্থিতিশীল থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু বাণিজ্য বিরোধ, ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, উৎপাদন খাতের অবিচ্ছিন্ন দুর্বলতা ও ব্রেক্সিট-সংশ্লিষ্ট উচ্চ অনিশ্চয়তার মধ্যে আমাদের ভবিষ্যতে সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ডম্ব্রভস্কিস উচ্চ ঋণগ্রস্ত ইইউর সব দেশকে বিচক্ষণ রাজস্ব নীতিমালা অনুসরণ এবং ঋণের মাত্রা কমানোর চেষ্টা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এছ