ছুটির দিনে সন্তোষপুরে

ঢাকা থেকে বেশি দূরে নয়, অথচ জানেন না অনেকেই। যেখানে হাজার হাজার গাছের দৃষ্টিনন্দন সৃজনে রাবার বাগান আর বানরের লুকোচুরি। হ্যাঁ, বলছি সন্তোষপুর রাবার বাগানেরই কথা। ভালো লাগা বনের অবস্থান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের সন্তোষপুরে।

সাংবাদিক সোমেল সরকার আমাকে যাওয়ার জন্য ফেসবুক মেসেঞ্জারে সেই বনের নানা স্থিরচিত্র আর বানরের বাঁদরামির ছবি পাঠান। ছবিগুলো দেখে আমি বেশ অবাক হই। তাকে বিভিন্ন উৎসাহব্যঞ্জক প্রশ্ন করি। মানুষের সাহচার্যে বনের বানর। ব্যাপারটা বেশ কাকতালীয় মনে হয়। তার গ্রামের বাড়িও সেখানে। তাই পথঘাট চেনারও ঝামেলা নেই। ঝটপট করেই দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের বন্ধুদের সঙ্গে প্ল্যান করি। নিজ নিজ গাড়িতেই সবাই যাব। জ্যামের ভয়ে ভোর ৪টায় গাড়ি ছাড়ে। কপাল মন্দ, আশুলিয়া থেকেই মহাজটে পড়ে সকাল ৭টা বাজে টঙ্গী। ফেসবুকে কষ্টের কথা শেয়ার করতেই লাইক-কমেন্টের ফুলঝুড়ি। বোঝা গেল যানজটের যন্ত্রণায় সবারই কমবেশি ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা। মাওনা পার হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তি। এক টানে বেলা সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়িয়ার কান্দানিয়া গ্রামে পৌঁছে যায়।

সোমেল জানালেন, বানর দেখতে হলে বিকালটা মোক্ষম সময়। তাই পূর্বানুমতি নিয়ে ঢুঁ মারি দুলমা গ্রামের দীপ্তি অর্কিডস বাগানে। প্রধান ফটক পেরিয়ে বাগানে ঢুকতেই চোখ জুড়িয়ে যায়। শক্ত পাতার আবরণে লাল, হলুদ, সাদা, বেগুনি রঙের নানা ফুল ফুটে আছে। বিশাল এলাকা, প্রায় ২৬ একর জায়গাজুড়ে অর্কিড বাগান। আরো রয়েছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের বৃক্ষরাজি। বাগানজুড়ে পাখির কলতান। বেশ ভালোলাগা একটা সময় পার করে যাই জুমার নামাজে।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন