খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৪২ জন। এখন পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ৩ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। বিভাগের ১০ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। এর মধ্যে খুলনায় ২০, যশোরে ৫, কুষ্টিয়ায় ৫, সাতক্ষীরায় ২, মাগুরায় ১, মেহেরপুরে ১ ও ঝিনাইদহে ২ জন রয়েছে। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. ফেরদৌসী আক্তার জানান, ১ জুলাই থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভাগে ১০ হাজার ৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর ৯ হাজার ২৭৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৫১১ জনকে বিভিন্ন স্থানে রেফার্ড করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে খুলনায় (বিভিন্ন উপজেলা) ২৫৪ জন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ হাজার ৫১৬, বাগেরহাটে ৩১, সাতক্ষীরায় ৮৮৫, যশোরে ৩ হাজার ৫৩৮, ঝিনাইদহে ৬১৩, মাগুরায় ৫০৮, নড়াইলে ৫১৮, কুষ্টিয়ায় ১ হাজার ৪৭৮, চুয়াডাঙ্গায় ১৪১, মেহেরপুরে ২৪৬ জন। এর মধ্যে খুলনায় একজন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৪, বাগেরহাটে ৩, সাতক্ষীরায় ১২, যশোরে ৯৪, ঝিনাইদহে ১০, মাগুরায় ৮, নড়াইলে ৭, কুষ্টিয়ায় ২৩, চুয়াডাঙ্গায় ১ জন ও মেহেরপুরে ৩ জন চিকিৎসাধীন।
ডা. ফেরদৌসী আক্তার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে নতুন ৪২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, সাতক্ষীরায় ৩, যশোরে ১৫, ঝিনাইদহে ৩, নড়াইলে ১, কুষ্টিয়ায় ৪, চুয়াডাঙ্গায় ১ জন ও মেহেরপুরে ১ জন।
তিনি জানান, ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের জন্য খুলনা বিভাগে পর্যাপ্ত কিট মজুদ রয়েছে। বর্তমানে বিভাগের ১০ জেলায় ১৫ হাজার ৭০১টি কিট মজুদ আছে। এর মধ্যে খুলনায় ৩ হাজার ৫৪১টি, বাগেরহাটে ৫৮১, সাতক্ষীরায় ৪৮৯, যশোরে ২ হাজার ৯৩২, ঝিনাইদহে ২ হাজার ২৬৪, মাগুরায় ৬৭৬, নড়াইলে ৫১২, কুষ্টিয়ায় ৩৫৭, চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার ৫৫২টি ও মেহেরপুরে ১ হাজার ৭৯৭টি কিট মজুদ রয়েছে।