খেলা

 চলতি জাতীয় লিগে প্রথম রাউন্ডে এক ইমরুল কায়েসের ডাবল সেঞ্চুরি বাদ দিলে রানখরায় ভুগেছেন ব্যাটসম্যানরা। গতকাল দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনে ঢাকা বিভাগ ছাড়া আর কোনো দলই সমৃদ্ধ করতে পারেনি নিজেদের ইনিংস। প্রথম স্তরের ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাইফ হাসানের সেঞ্চুরির সঙ্গে রনি তালুকদার ও রকিবুল হাসানের ফিফটিতে রংপুরের বিপক্ষে রানোৎসব করেছে ঢাকা বিভাগ। দিনের শেষে ঢাকার সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান।

এবারের জাতীয় লিগে প্রথমবারের মতো মাঠে নামাটাকে স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় রাউন্ডে স্বাগতিক খুলনা বিভাগের বিপক্ষে রাজশাহীর প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ২৬১ রানে। ১৫ ওভার বোলিং করে ২ উইকেট শিকারের জন্য মুস্তাফিজ দিয়েছেন ৬৪ রান। প্রথম ম্যাচে ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা থাকায় খেলেননি মুস্তাফিজ। প্রথম ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন মুস্তাফিজ। রাজশাহী ইনিংসে ধস নামানোর কৃতিত্ব মূলত মেহেদী হাসান মিরাজের। জাতীয় দলের এ অফস্পিনার ৪ উইকেট নেন মাত্র ৩৮ রান খরচায়। রাজশাহীর পক্ষে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিটি পান জুনায়েদ সিদ্দিকি।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী মাঠে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে ইয়াসির আলী ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাটে প্রথম দিনটি খুব ভালোভাবে পার করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। দিনের শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান। অপরাজিত পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১১৭ রান যোগ করেন ইয়াসির ও মাহিদুল। ইয়াসির অপরাজিত আছেন ৬৮ রানে। মাহিদুল খেলছেন ৬৯ রান নিয়ে।

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে ঢাকা মেট্রোকে ২৪৬ রানে অলআউট করেছে সিলেট বিভাগ। জবাবে দিনের শেষে মাত্র ৫ রান তুলতেই ১ উইকেট হারিয়েছে সিলেট। সকালে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে মেট্রো। এখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। তবে প্রান্ত আগলে রেখেও ধস ঠেকাতে পারেননি জাতীয় দলের এ অভিজ্ঞ সেনানী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। আর এ ইনিংস খেলার পথে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৬ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। মেট্রোর পক্ষে অন্য হাফ সেঞ্চুরিয়ান শহীদুল ইসলাম (৫৪)।

চট্টগ্রামে রংপুরের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রানোৎসব করেছে ঢাকা। সাইফের সেঞ্চুরি (১২০) ছাড়াও