খুলনার ময়ূর নদসহ ২৬ খাল দখলমুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। গত ১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এ অভিযানে গতকাল পর্যন্ত বহুতল ভবনসহ ২১২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। মাঝে দুর্গা পূজার জন্য এক সপ্তাহ অভিযান বন্ধ ছিল।
গতকাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান খানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেয়ানা মৌজার কিছু অংশ ও বিল পাবলা মৌজার মোড়লপাড়া হতে লতা পাহাড় ব্রিজ পর্যন্ত এবং লতা পাহাড় ব্রিজসংলগ্ন খুদে নদীর সীমানার মধ্যে থাকা আড়াআড়ি মাটির বাঁধ অপসারণ করা হয়। এছাড়া একটি বাথরুম, একটি পাটাসহ বেশকিছু গাছপালা অপসারণ করা হয় বলে জানান কেসিসির এস্টেট অফিসার মো. নূরুজ্জামান তালুকদার। এ সময় প্রায় ২০ শতক জমি দখল মুক্ত করা হয়।
কেসিসির এস্টেট অফিসার মো. নূরুজ্জামান তালুকদার জানান, খুলনার ২৬ খাল উদ্ধারে গত ১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অভিযান এখনো অব্যাহত আছে। মাঝে শারদীয় দুর্গোৎসবের কারণে এক সপ্তাহ এ অভিযান বন্ধ ছিল। পূজা শেষে রোববার থেকে আবারো অভিযান শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ময়ূর নদসহ সাতটি খাল থেকে ২১২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর দখলমুক্ত করা হয়েছে ময়ূর নদ, খুদে নদী, ক্ষেত্রখালী খাল, লাউড়ি খাল, ছড়ি খাল, লবণচরা দ্বিতীয় স্লুইচ গেট খাল ও খোলাবাড়িয়া খাল। ২৬ খাল দখল করে গড়ে ওঠা ৩৮২টি তালিকাভুক্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার পর নদী ও খাল পুনঃখনন করা হবে।
তিনি আরো জানান, অভিযানে বহুতল ভবন, কাঁচা-পাকা ঘর, বাড়ি, দোকান, বাথরুম, পাকা সীমানা প্রাচীর, মসজিদ ও কারখানা উচ্ছেদ করা হয়। খালের মধ্যে পাইলিং দিয়ে মাটি ভরাট করায় দুজনকে জরিমানা করা হয় ৬৫ হাজার টাকা। এছাড়া খালের মধ্যে এবং ময়ূর নদে আড়াআড়িভাবে দেয়া পাটা অপসারণ হয়েছে। একই সঙ্গে দুটি মাছ ধরার চোংজালসহ ঘেরাবেড়া উচ্ছেদ করা হয়েছে। কর্তন করা হয়েছে বহু গাছপালা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত নদী ও খালগুলোর দুই তীরে হাঁটা এবং সড়ক ও মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সেতু নির্মাণসহ বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হবে। যাবতীয় নির্মাণকাজ যাতে মানসম্মত হয়, সেজন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সঙ্গে চুক্তি করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন। ময়ূর নদ সংরক্ষণের এ কাজে পাঁচ বছরে ব্যয় হবে ৬০০ কোটি