উত্তর সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মার্কিন মিত্র কুর্দিদের ত্যাগ করা এবং প্রতিপক্ষ রাশিয়া ও সিরিয়াকে শক্তিশালী করায় মঙ্গলবার ওহাইওতে আয়োজিত বিতর্কে ট্রাম্পের একহাত দেখে নেন তারা। খবর রয়টার্স।
সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের প্রথম বিতর্কে সব প্রার্থীই একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন এবং তা হচ্ছে ট্রাম্পের সিরীয় নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান। রিপাবলিকান দলীয় এ প্রেসিডেন্টের বেপরোয়া পদক্ষেপে বিশ্বে মার্কিন স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করেন তারা। তবে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী মার্কিন সেনা উপস্থিতির বিপক্ষেও মতামত দিয়েছেন কেউ কেউ, যাদের মধ্যে রয়েছেন সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন।
প্রভাবশালী এ ডেমোক্রেটিক সিনেটর বলেন, আমি মনে করি মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমাদের সরে আসা উচিত। আমি মনে করি না সেখানে আমাদের সেনা উপস্থিতি ধরে রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ নীতির ওপর জোর দিয়ে প্রচারণা কৌশল সাজানো ওয়ারেন অবশ্য নিশ্চিত করেননি কীভাবে তার সিরীয় নীতি ট্রাম্পের চেয়ে ভিন্ন হতো। ট্রাম্পের সিরীয় নীতিকে খেয়ালি হিসেবে মন্তব্য করেন ওয়ারেন।
এ বিষয়ে ওয়ারেন বলেন, তিনি স্বৈরাচারদের কাছে নতি স্বীকার করেছেন এবং তিনি ঝোঁকের বশে এমন সিদ্ধান্ত নেন, যা তার নিজের টিমের লোকজনও বুঝতে পারেন না। তিনি আমাদের মিত্রদের ত্যাগ করেছেন এবং মার্কিন স্বার্থ বলি দিয়ে নিজেকে সবল করেছেন।
অন্যদিকে টুইটের মাধ্যমে সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেয়ায় ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন অন্য সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। ভারমন্ট থেকে নির্বাচিত এ সিনেটর বলেন, তিনি যা করেছেন, তা হলো আমাদের পররাষ্ট্রনীতির সক্ষমতাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, ধ্বংস করে দিয়েছেন আমাদের সামরিক সক্ষমতাকে। কারণ পৃথিবীকে কেউ-ই এ রকম ‘প্যাথোলজিক্যাল লায়ার’কে বিশ্বাস করবে না।
সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পের একহাত দেখে নিয়ে বলেন, পররাষ্ট্রনীতির ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্টের এটি সবচেয়ে লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সাবেক ও বর্তমান কমান্ডাররা এ রকম সিদ্ধান্তে লজ্জিত অনুভব করছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে ‘অনন্ত যুদ্ধ’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সিরিয়ায় এতদিনের মার্কিন নীতি থেকে সরে আসার নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাসহ সমালোচকরা একে কুর্দিদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছেন। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে মার্কিন মিত্র হিসেবে লড়াইয়ে হাজারো