প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, পরের আসরে ভারত। টানা তৃতীয় ফাইনালে আসা দুই দলের সামনে ছিল এগিয়ে যাওয়ার মিশন। টাইব্রেকারে বাংলাদেশকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে এগিয়ে গেল ভারত। নির্ধারিত সময়ের খেলা ছিল গোলশূন্য।
ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে দুই দলের তুলনা টানতে গেলে প্রথমেই চোখ আটকেছে ভারতীয় ফুটবলারদের সুঠাম দৈহিক কাঠামোয়। ফাইনাল শুরুর আগেই বাংলাদেশের চেয়ে এ দিকটায় এগিয়ে ছিল দেশটি। খেলা শুরুর পর মাঝমাঠের দখল নিয়ে শুরু থেকেই চড়াও হয়েছি ভারতীয় দল। গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা অবশ্য তাতে দমে যায়নি। আস্থার সঙ্গেই রক্ষণ সামলেছে নাসরিন আক্তার, উন্নতি খাতুন, আফেইদা খন্দকার ও সুরমা জান্নাতরা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে বারবার আক্রমণেও যাচ্ছিল রোজিনা আক্তার ও সাহেদা আক্তার রীপা।
দারুণ ড্রিবলিং ও ওয়ান টু পাস খেলা বাংলাদেশই বরং প্রথমার্ধে পরিষ্কার গোলের সুযোগ পেল একাধিক। কিন্তু সমস্যা ওই এক জায়গায়— প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের প্রথমার্ধ কাটল গোলশূন্যভাবেই।
বিরতির পর প্রথম আক্রমণে লড়াইয়ের ঝাঁঝ ধরে রাখে বাংলাদেশ। তিন মিনিটের ব্যবধান দুই দফা প্রতিপক্ষ শিবিরে হানা দিয়ে ভালোই জবাব দেয় ভারতও। ৫৫ মিনিটে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে আঁধার নেমে আসে চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট কাটলেও গোলের আলো ফেরেনি। ম্যাচের বাকি অংশে ভারতই তুলনামূলক আক্রমণাত্মক ছিল। কিন্তু তা বাংলাদেশের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেনি চ্যাম্পিয়নরা। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ায় ফলাফল নির্ধারণে টাইব্রেকারের সহায়তা নিতে হয়।
স্পট-কিক থেকে ভারতের পূর্ণিমা কুমারী গোল করলেও সাইডবারে মেরে প্রথম সুযোগ নষ্ট করেন শামসুন্নাহার। শুরুতে পিছিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। বাকি চার শটে ভারত গোল করলে বাংলাদেশের পঞ্চম শট নেয়ার প্রয়োজন হয়নি। ৫-৩ গোলের জয়ে শিরোপা ধরে রাখল ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা।