চীনের শীর্ষ বাণিজ্য সমঝোতাকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে একটি সম্ভাব্য চুক্তির প্রত্যাশায় গতকাল এশিয়ায় শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। তবে সম্ভাব্য ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আশাবাদে উল্লম্ফনের পর গতকাল পাউন্ডের মান অপরিবর্তিত থাকতে দেখা গেছে। খবর রয়টার্স।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে বিনিয়োগের আগ্রহ ফিরে আসায় জাপানের ইয়েন ও মার্কিন বন্ডের মতো নিরাপদ সম্পদগুলো অব্যাহতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে সম্ভাব্য সরবরাহ হ্রাস নিয়ে ওপেক-প্রধানের মন্তব্যের প্রভাবে তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিটের সূচকগুলোর ঊর্ধ্বগতির পর গতকাল জাপান বাদে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিস্তৃত এমএসসিআই সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপির ই-মিনি ফিউচারস দশমিক ৩ শতাংশের বেশি যোগ করেছে।
এশিয়ার শেয়ারবাজারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারদর দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। একই সময় জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক ১ শতাংশ অর্জন করেছে। চীনের ব্লু চিপ যোগ করেছে দশমিক ৫ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ আলোচকদের মধ্যে প্রথম দিনের বাণিজ্য আলোচনার পর বাজারে এই তেজিভাব ফিরে এসেছে। এরই মধ্যে আলোচনাকে ‘বেশ ভালো’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা সম্ভবত প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হয়েছে এবং উভয় পক্ষের তরফ থেকে মার্কিন চেম্বার অব কমার্সের কর্মকর্তাকে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে, তা চলতি সপ্তাহেই একটি মুদ্রা চুক্তির সম্ভাবনা ব্যাপক বাড়িয়ে তুলেছে।
ট্রাম্প মন্তব্য করার আগেই চুক্তি নিয়ে আশাবাদ মার্কিন বাজারকে চাঙ্গা হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান তিনটি সূচকের মধ্যে ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক দশমিক ৬৪ শতাংশ ও নাসডাক কম্পোজিট দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
যদিও বাণিজ্য আলোচনা ঘিরে আশাবাদ রাতারাতি ‘চিরায়ত ঝুঁকি মৌসুম’ দূর করতে সহায়তা করেছে, কিন্তু উদ্যমের ঘাটতি এখনো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়ে যাওয়া উদ্বেগেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন জিএআইএন ক্যাপিটালের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন। তিনি বলেন, আমরা জানি এগুলো ট্রাম্পের তরফ থেকে খোশালাপ মাত্র। বাণিজ্য আলোচনাবিষয়ক আরো ইতিবাচক অগ্রগতি সোমবার বাজারগুলোকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে। তবে চুক্তি নিয়ে কম প্রত্যাশা থাকায় বিশ্বের জন্য ঝুঁকির সমাপ্তি ঘটবে না বলে মনে করছেন তিনি।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের