যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর সিরীয় সীমান্তে অভিযানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় তুরস্ক। পাল্টা জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, অভিযানের নামে তুরস্ক ‘সীমার বাইরে’ কিছু করলে তাদের অর্থনীতি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। খবর রয়টার্স, বিবিসি।
সোমবার একের পর এক টুইটে তিনি সিরিয়ার ওই এলাকা থেকে মার্কিন বাহিনী সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষেও যুক্তি দেখিয়েছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের ফলে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধারা আঙ্কারার সাঁড়াশি আক্রমণের শিকার হতে পারেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটবিরোধী লড়াইয়ের মিত্র কুর্দিদের পাশ থেকে সরে এসে এভাবে তাদের ওপর আক্রমণের পথ করে দেয়ায় ট্রাম্প প্রভাবশালী রিপাবলিকানদেরও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
সিরিয়াজুড়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের যে হাজারখানেক সৈন্য আছে, তার মধ্যে তুরস্কের সীমান্ত এলাকা থেকে মাত্র দুই ডজন সেনা প্রত্যাহার হয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। কুর্দি নেতৃত্বাধীন একটি গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের এ সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ‘পেছন থেকে ছুরি মারা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপের ফলে ওই অঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান ঘটতে পারে বলেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।