৮ নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে ২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে চন্দ্রাবতী কথা ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি আলফা। মূলত উৎসবে প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে চন্দ্রাবতী কথার। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বহুল প্রতীক্ষিত এ ছবি। আলফায় মূল নারী চরিত্রে এবং চন্দ্রাবতী কথায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল। আজকের আয়োজনে থাকছে তার সঙ্গে কথোপকথনের খানিকটা—
আলফা চলচ্চিত্রের গোলেনূর নাকি চন্দ্রাবতীর কথার চন্দ্রাবতী; কোন চরিত্রটি এগিয়ে আছে আপনার কাছে?
এটা বলা খুব কঠিন। তবে সাধারণ উত্তর হচ্ছে, দুটি চরিত্রের মধ্যে কোনোটিকেই একটু আগে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব না। দুটি চরিত্র স্কেলের ঠিক একই বিন্দু স্পর্শ করেছে আমার কাছে। দুটির সৌন্দর্য আমার কাছে দুই রকম। আলফা ছিল বড় পর্দায় আমার প্রথম কাজ। এখানে কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে আমি আমারই প্রতিনিধিত্ব করছি যেন। কেননা আমি যেহেতু রংপুরের মেয়ে, সেখানের ভাষা সবই কিন্তু আমার। এসব কিছুই আমি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরেছি। সেদিক থেকে আলফায় গোলেনূর চরিত্রে রূপ দেয়া বিশেষ কিছুই ছিল আমার কাছে। অন্যদিকে চন্দ্রাবতী কথা চলচ্চিত্রে চন্দ্রাবতী চরিত্রটি তো আসলে ঐতিহাসিক এক চরিত্র। ষোলো শতকের দিকে এ উপমহাদেশের প্রথম নারী কবি তো তাকেই ধরা হয়। এমন এক চরিত্রে কাজ করা কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। সব মিলিয়ে দুটি চলচ্চিত্রেই দুই চরিত্র এতটা বিশেষ আমার কাছে যে, কোনোটি ছেড়ে কোনোটিকে এগিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। যে কথাটা না বললেই নয়, তা হচ্ছে আমার প্রথম চলচ্চিত্র আলফা, আর ঠিক দ্বিতীয়টাই কিন্তু চন্দ্রাবতী কথা। এর আগে কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতাই আমার ছিল না।
আলফা এর মধ্যেই বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে, চন্দ্রাবতী কথার ক্ষেত্রে প্রত্যাশা কী?
এমন একটি ঐতিহাসিক কালপর্ব নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কোনো নির্মাতা, এটা কিন্তু অনেক বড় বিষয়। ধরুন, আমাদের প্রজন্মও কিন্তু ঠিকঠাক জানে না কে চন্দ্রাবতী? এমনকি আমি নিজেও খুব ভালো জানতাম না এ নারী সম্পর্কে। পরবর্তী প্রজন্মের কথা তো বাদই থাকল। অথচ তিনি এ উপমহাদেশের প্রথম মহিলা কবি। আসলে ৪০০ বছরের আগের কথা, সেসব তো হারিয়েই গেছে। সেদিক থেকে সেই পুরনো গল্প, সেই চরিত্র নিয়ে যখন কোনো চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে, সেটা বেশ গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে নেবে বলেই বিশ্বাস করি। অন্তত ইতিহাস বাঁচিয়ে রাখা কিংবা জানার জন্য হলেও এটি একটি চমত্কার চলচ্চিত্র। একটা ভালো লাগার বিষয়ও এর সঙ্গে যুক্ত, যেহেতু এ ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে আগে কিছুই হয়নি। তাই একটা সময় কিন্তু লোকে চন্দ্রাবতী বলতে চিনবে দোয়েলকে।
চন্দ্রাবতী সম্পর্কে যেহেতু তেমন কিছু জানতেন না, সেহেতু নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন কীভাবে চরিত্রটির জন্য?
চরিত্রটি নিয়ে পড়াশোনা তো করতে হয়েছেই। তবে এর পাশাপাশি পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে চলচ্চিত্রটির নির্মাতা রাশেদ এন চৌধুরিকে। তিনি খুব সাহায্য করেছেন চরিত্রটি ধারণের ক্ষেত্রে। তিনি প্রতিটি অলঙ্কার সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে শাড়ি কেমন হবে, চেহারা বা অভিব্যক্তি কেমন হওয়া চাই, চুল কেমন ছিল চন্দ্রাবতীর—সবকিছু নিয়েই আমাকে সাহায্য করেছেন। সে সময় তো আমি মডেলিং করতাম, এ চলচ্চিত্রে কাজ করছি বলেই আমি সে সময়টা টানা আট মাস ভ্রু প্লাক করিনি। সে সময় মনে আছে একটা র্যাম্প শো ছিল, আমাকে ডাকা হয়েছিল কোনো এক শোতে অংশগ্রহণের জন্য।
- সবসময় সিনেমাই নির্মাণ করতে চেয়েছেন মিশুক মনি
- পরিবর্তন আসছে অস্কারের নীতিমালায়
- অভিনয়ে ফিরতে আগ্রহী ঐন্দ্রিলা
- এক নাটকে অর্জুন ও অ্যাকিলিসের গল্প
- থালাইভাকে লোকেশের ট্রিবিউট
- আজ বটতলার সাংস্কৃতিক সমাবেশ