যুক্তরাষ্ট্রের বৃহদায়তন কোম্পানিগুলোর মধ্য থেকে একদল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবসায়িক গোলটেবিল বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে একটি বিবৃতি জারি করা হয়, যা সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পরিমণ্ডলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আমেরিকার করপোরেট ব্যক্তিরা প্রাথমিক বা একচেটিয়াভাবে শেয়ারহোল্ডারের মান সর্বাধিক করে তোলার দিকে মনোনিবেশ করার চেয়ে সংস্থাগুলোর শ্রমিক, গ্রাহক, প্রতিবেশী, অন্যান্যসহ তাদের বৃহত্তর স্টেকহোল্ডার সম্প্রদায়ের কল্যাণের দিকে জোর দেয়া উচিত বলে যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন।
যেহেতু বড় বড় সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মুনাফা অর্জনে তাদের অবদানের ভিত্তিতে নিয়োগ ও বরখাস্ত হন, ফলে এ-জাতীয় বিবৃতি সন্দেহজনক বলে মূল্যায়িত হয়েছে। আর্থিক বাজার পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎসাহ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের স্বল্পমেয়াদি মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যই পূরণ করার আশা করা উচিত।
ব্যবসায়িক গোলটেবিল বৈঠকে উঠে আসা মতামতগুলো ‘পুঁজিবাদকে পুনরায় কল্পনা করা’র ব্যাপক প্রচেষ্টার একটি অংশ। প্রসঙ্গটি বর্তমানে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল, ব্রাউন ইউনিভার্সিটি ও অন্যত্র হাই-প্রোফাইল কোর্সের অন্তর্ভুক্ত।
নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় বোর্ডের ব্যবসা ও অর্থনীতিবিষয়ক লেখক ও সাংবাদিক বিনিয়ামিন অ্যাপলবাম তার সম্প্রতি প্রকাশিত বই দি ইকোনমিস্ট আওয়ারে এ যুক্তি দিয়েছেন যে অত্যধিক পরিমাণে লাভের দিকে খুব বেশি ঝুঁকে যাওয়া অর্থনীতিবিদদের জন্য দোষের এবং ডোমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা পরিমিত সংস্কার থেকে শুরু করে বাজারগুলো কীভাবে কাজ করে, তার আরো বেশি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনার ধারণা নিয়ে আসছেন।
আধুনিক আমেরিকান অর্থনীতিতে বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে বাজারের ভূমিকা সমন্বয় করা সম্পর্কে চিন্তা করার সময়ে তিনটি প্রধান বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
প্রথমত, কিছু ক্ষেত্রে বাজার প্রণোদনা ইতিবাচক। আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হন এবং মূলধন বাড়াতে চান, সেক্ষেত্রে ব্যাপক পরিসরে সামাজিক কল্যাণের কথা চিন্তা করলে লাভ খুব অল্পই পাবেন। একটি শিল্পকে রূপান্তর করতে এবং ব্যবসার গোলটেবিলের প্রতিনিধিত্বকারীদের চ্যালেঞ্জ করতে আপনার এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল দরকার, যা ভবিষ্যতে লাভের প্রতিশ্রুতি দেবে। উদাহরণস্বরূপ, গত দুই দশকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে মানব জেনোমের ওপর গবেষণায় বেসরকারি উদ্যোগের মূলধন দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছে।