আবরার হত্যা

জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির উদ্বেগ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ, জার্মানি যুক্তরাজ্য। সেই সঙ্গে বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখার পক্ষে মত দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা দেশগুলো।

গতকাল বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বাকস্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি মৌলিক অধিকার। এর চর্চার জন্য কাউকে হয়রানি, নির্যাতন হত্যা করা উচিত নয়।

এদিকে গতকাল কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, এটি একটি ভীতিকর ঘটনা। আমার নিজের দুই সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে এত নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটতে পারে, সেটা আমার কল্পনারও বাইরে। ঘটনা গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। প্রিয় সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে ক্যাম্পাসে নিরাপদ আছে, নিশ্চয়তা অবশ্যই পিতা-মাতাকে দিতে হবে।

একই বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, মুক্তভাবে মত প্রকাশ করায় বুয়েটের তরুণ শিক্ষার্থীকে খুনের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। ঘটনার দ্রুত স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বহু বছর ধরে যেভাবে সহিংসতা চলমান রয়েছে, তা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ক্যাম্পাস অবশ্যই নিরাপদ হওয়া উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, সহিংসতার কারণে বহু বছরে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন এবং দৃশ্যত এসব হত্যার জন্য দায়ীদের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের বিবৃতিতে সর্বশেষ বুয়েটে শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেফতারে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে ঘটনার স্বাধীন তদন্ত এবং সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের কথা বলা হয়েছে।

এদিকে ঢাকায় হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বুয়েটে ঘটে যাওয়া ঘটনায় আমরা বিস্মিত মর্মাহত। যুক্তরাজ্য বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার আইনের শাসন প্রসঙ্গে নিঃশর্তভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে ঢাকায় জার্মান দূতাবাস এক প্রতিক্রিয়ায় জানায়, মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিটি গণতন্ত্রের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গণতন্ত্র মানুষকে বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সেই সঙ্গে সে মত প্রকাশ্যে ছড়ানোর অধিকার দেয়। জার্মান সরকার নিজ দেশে বিশ্বে জোরালোভাবে অধিকারগুলোর পক্ষে। এর ব্যতিক্রম করেছে এমন কাউকে শাস্তিবিহীন রাখা হয় না। বুয়েটের একজন ছাত্রকে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন