প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের জন্য মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের থাবা থেকে মুক্ত উন্নত জীবন নিশ্চিত করা। বিশ্ব শিশু দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আজকের শিশু আনবে আলো, বিশ্বটাকে রাখবে ভালো।’ খবর বাসস।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ভেরা মেনডোনকা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার। রওনক জাহান ও আদিল কিবরিয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করে এবং অন্য দুই শিশু মাহজাবিন ও আবদুল্লাহ আল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবে, যাতে আজকের শিশুরা সামনের দিনগুলোয় একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ লাভ করে। এ লক্ষ্য অর্জনেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
শিশুদের উন্নত জীবনের জন্য বঙ্গবন্ধুর নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থী এবং মাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের জন্য বিনা বেতনে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শিশু অধিকার রক্ষায় বঙ্গবন্ধু শিশু আইন-১৯৭৪ অনুমোদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুরাই জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। তাই ভালোবাসা, সহানুভূতি ও সুশিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তোলাটা জরুরি, যাতে করে শিশুরা ভবিষ্যতে বিশ্বে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
শিশুদের সুন্দর জীবনের জন্য তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, দেশের পাশাপাশি বিশ্বকে বাসযোগ্য করতে শিশুদের মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো অত্যন্ত জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন ও কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার জাতীয় শিশুশ্রম বিলোপ নীতি-২০১০, জাতীয় শিশুনীতি-২০১১, ইন্ডিভিজুয়ালস উইথ ডিজেবিলিটিজ-২০১৩, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ আইন-২০১৮ ও বাংলাদেশে শিশু একাডেমি আইন-২০১৮ প্রণয়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ, প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত