বিজয়া দশমীতে মদ্যপানে খুলনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঁচজন ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন মারা গেছেন।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিজয়া দশমীর উচ্ছ্বাসে মঙ্গলবার রাতে মদ্যপান করে অসুস্থ পাঁচজনকে খুমেক হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে রূপসার পরিমল (২৮) ও গ্লাক্সো মোড়ের প্রদীপ শীলের ছেলে সুজন শীলকে (২৬) হাসপাতালে আনার পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা যান। তারা হলেন গল্লামারী ঋষিপাড়ার নরেন্দ্রনাথ দাশের ছেলে প্রসেনজিত দাশ (২৯), মহানগরীর সদর থানা এলাকার ভৈরব টাওয়ারসংলগ্ন এলাকার মানিক বিশ্বাসের ছেলে রাজু বিশ্বাস (২৫) ও রূপসার অমিত শীল (৩৮)।
এদিকে মদ্যপানে গল্লামারী ঋষিপাড়ার নরেন্দ্রনাথ দাশের আরেক ছেলে তাপস দাশের (৩৫) অবস্থা খারাপ হলে তাকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে গতকাল তিনি সেখানে মারা যান। এছাড়া মদ্যপানে রায়পাড়ার ইন্দ্রানী বিশ্বাস (২৫) ও রূপসার দীপ্ত (২৮) নামে আরো দুজন এ হাসপাতালে মারা যান। এদের মধ্যে ইন্দ্রানী গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় ও দীপ্ত বেলা ২টায় মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজার আশিকুর রহমান।
তাপস ও প্রসেনজিতের পরিবারের সদস্যরা জানান, মদ্যপানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাপসকে খুলনার বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গতকাল ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাপসের মৃত্যুর পর প্রসেনজিতও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকেও দ্রুত খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি গতকাল সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে সুজন শীলকে প্রথমে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তবে ভোরে তার অবস্থা খারাপ হলে তাকে খুমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই মারা যান সুজন।
গতকাল দুপুরে খুমেক হাসপাতালে খুলনা সিভিল সার্জন এএসএম আবদুর রাজ্জাক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, যারা মারা গেছেন তারা সবাই মদ্যপান করেছিলেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তারা আরো বলেন, মদ্যপানে অনেক সময় তীব্র বিষক্রিয়া হয়। এমন বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর ঘটনা আগেও ঘটেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক রাশেদুজ্জামান