চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন আলম, তার স্ত্রী ইয়াসমীন আলম এবং দুই ছেলে সাজ্জাদ আরেফিন আলম ও শাহরিয়ার আরেফিন আলমের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক অনুসন্ধানে চারজনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার তথ্য মেলায় গতকাল তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস দেয়া হয়। দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের সই করা আলাদা আলাদা নোটিস তাদের চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসা ও আগ্রাবাদের অফিসের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। নোটিসে চারজনকে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।
দুদকের পাঠানো নোটিসে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই নোটিস পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তার নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ঋণ জালিয়াতির মামলায় গত বছরের ১৭ অক্টোবর রাজধানীর গুলশানের একটি কফিশপ থেকে শাহাবুদ্দিন আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চট্টগ্রামের একটি থানায় ব্যাংক এশিয়ার করা ঋণখেলাপির মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। শাহাবুদ্দিন আলমের মোট ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬২২ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের সিডিএ এভিনিউ শাখা থেকে তার নেয়া ঋণের পরিমাণ ৭০৯ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় শাহাবুদ্দিন আলম, তার স্ত্রী ইয়াসমীন আলম ও ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম। মামলার পর শাহাবুদ্দিন আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক ।