বাড়ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ শৈথিল্যে খোয়া যাচ্ছে আমানতকারীর অর্থ

জেসমিন মলি

চেক জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের ১১ কোটি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল কবিরের বিরুদ্ধে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার পদে নিয়োজিত থাকাকালে ব্যাংকেরই আরো সাত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে তিনি জালিয়াতিতে লিপ্ত হন। চলতি বছরের অক্টোবরে ইবিএলের দুই ব্যবস্থাপকসহ আটজনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়--এর দায়ের করা এসব মামলার প্রতিটিতেই আসামি করা হয়েছে ইফতেখারুল কবিরকে। বাকি আসামিরা হলেন সামিউল সাহেদ, জাকির হোসেন, মাহমুদুল হাসান, আবদুল মাবুদ, ফারজানা হোসেন, আজম চৌধুরী খালেদ সাইফুল্লাহ।

এসব মামলায় গ্রেফতার হওয়ার আগে ইফতেখারুল কবির ইস্টার্ন ব্যাংকের ওআর নিজাম রোড শাখায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি চান্দগাঁও শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। দুদকের মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে গ্রাহকের কাছ থেকে আগে থেকে রেখে দেয়া চেক জালিয়াতি করে নগদায়ন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে চেক বই ইস্যু করেও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এর আগে গত অক্টোবর এফডিআরের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের ৮১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইফতেখারুল কবিরসহ দুজনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করে দুদক।

ব্যাংক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ অনিয়মের ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগের সংখ্যা সাম্প্রতিক কালে বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের আমানতের অর্থ কর্মকর্তারাই সরিয়ে ফেলছেন বলে অভিযোগ উঠছে। ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, ভুয়া হিসাব খুলে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) বনানী শাখার প্রিভিলেজ সেন্টারের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদ সারোয়ারের বিরুদ্ধে। টাকা আত্মসাতে নিজের স্ত্রীর সহায়তা নিয়েছেন তিনি। দুদকের অনুসন্ধানে সম্প্রতি অভিযোগের সত্যতা বেরিয়ে আসে। পরে ১০ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা- সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে জাহিদ সারোয়ার তার স্ত্রী ফারহানা হাবিবকে আসামি করে একটি মামলা করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. শফিউল্লাহ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ট্রাস্ট ব্যাংকের গ্রাহক ফেরদৌসী জামানের সই জাল করে ব্যাংকের নথিতে থাকা গ্রাহকের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন