প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিকভাবেও এগিয়ে যাবে। এই দেশ বিশ্বসভায় মর্যাদা নিয়ে চলতে পারলেই শহীদের আত্মত্যাগ এবং তাদের মহান অবদান চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। গতকাল রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। আমরা বাংলাদেশকে সেভাবেই গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুদ্ধিজীবীরা জীবন দিয়ে গেছেন এ দেশের জন্য। নির্মমভাবে হত্যার পর তাদের নামও মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেটা মুছে ফেলতে পারেনি। কারণ আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যায় না, কখনো বৃথা যায়নি। সেটাই প্রমাণ হয়েছে এখন বাংলাদেশে।
একাত্তরে বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ঘটে যাওয়া বুদ্ধিজীবী হত্যার সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছর পাকিস্তানি বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে দেশের আপামর জনসাধারণকে সংগঠিত করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় জামায়াতসহ ধর্মান্ধ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারা আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তার পাশাপাশি হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুট করে। বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে তারা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মীরজাফর ও খন্দকার মোশতাক বেইমান ছিলেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এই এখানে আমরা দেখি সেই মীরজাফর, মোশতাক থেকে শুরু করে বেইমানের জন্ম বারবার হয়েছে। খুনি জিয়াউর রহমানের মতো বেইমানের জন্ম বারবার হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে আর এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেই দায়িত্ব বাংলাদেশের জনগণকে নিতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজকে নিতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
জিয়াউর রহমানের ভূমিকার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছেন। আর জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা বাংলাদেশ চায়নি, পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল
- প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৬০%, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ
- কোনো রাজনৈতিক মামলা বিএনপির নামে করা হয়নি
- বরাদ্দের আগেই ‘নির্দিষ্ট প্রতীকে’ ভোট চাওয়ায় প্রার্থীকে শোকজ
- থার্ড টার্মিনালের অস্থায়ী প্রাচীর ভেঙে ঢুকে পড়ল বাস প্রকৌশলীর মৃত্যু
- গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে —মির্জা ফখরুল
- হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে খামারের শত শত মুরগি