নভেম্বরে ভারতের আমদানি ১৩ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে টানা ছয় মাস কমল দেশটির আমদানি। এছাড়া দেশটির রফতানি শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ কমে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। চতুর্থ মাসের মতো রফতানি কমায় দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি তিন মাসের সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
আমদানি, রফতানি কমার পরিমাণ অল্প হলেও নীতিনির্ধারকদের উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। দেশটির শিল্প খাতের পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে রফতানিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে দেশটির সার্বিক অর্থনৈতিক তত্পরতার প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে আমদানি, যা হ্রাস পাওয়া মানে হচ্ছে কাঁচামাল, ইনপুট ও মূলধনি পণ্যের চাহিদা কমা।
গত নভেম্বরে ৩০টি প্রধান প্রকল্প খাতের মধ্যে মাত্র আটটিতে আমদানি বেড়েছে। ৩০টি প্রধান প্রডাক্ট গ্রুপের মধ্যে ১৩টি গ্রুপের আমদানি ইতিবাচক অঞ্চলে ছিল।
আমদানি কমার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হ্রাস, যা ১৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক শ্লথগতির কারণে তেলজাত পণ্যের চাহিদাও কমেছে। ব্রেন্ট তেলের দাম ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ কমেছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপাত্তে উঠে এসেছে। তেলবহির্ভূত পণ্য আমদানি ১০ শতাংশ কমে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্বর্ণের চালান ১২ শতাংশ হ্রাস।
ভারতের অর্থনীতিতে শ্লথগতি সর্বব্যাপী প্রভাব রেখেছে বলে উপাত্তগুলোয় উঠে এসেছে। পরিবহন যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ইস্পাত, মেটাল (ধাতু), রাসায়নিক
আমদানিও বেশ কমেছে।
