স্টামফোর্ড শিক্ষার্থী রুম্পাকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি

বণিক বার্তা অনলাইন

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক একটি প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ময়নাতদন্তের তিনটি রিপোর্টের মধ্যে এ পর্যন্ত একটা পেয়েছি। সেটি হলো- মাইক্রোবায়োলজিক্যাল রিপোর্ট। এই রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। আরও দু’টি বাকি আছে।

তবে এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিলো, রুম্পা মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু ময়নাতদন্ত করেই হত্যা না আত্মহত্যা, সেটি নির্ণয় করা যাবে না। এর জন্য পারিপার্শ্বিক অন্য অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়। এ বিষয়ে আগামীকাল রবিবার পুলিশের কাছে প্রাথমিক রিপোর্টি পাঠানো হবে বলেও জানান এই চিকিৎসক।

 উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) রাতে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে দুই ভবনের মাঝখানের এক গলি থেকে রুম্পার লাশ উদ্ধার করা হয়। আশপাশের কোনো ভবন থেকে পড়ে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করলেও সে সময় তার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বজনরা মর্গে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেন।

রুম্পা ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন। মালিবাগের শান্তিবাগে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশে কর্মরত। রুম্পার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ওই থানার এসআই আবুল খায়ের।

তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর রুম্পা বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে নিজের মোবাইল ফোনও নেননি তিনি। উঁচু থেকে পড়ে শরীরের যে ধরনের জখম হয়, রুম্পার শরীরে সে ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা খায়ের।

ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতেই রুম্পার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে তার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এজন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছে তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন