ছাত্রলীগের জন্ম আওয়ামী লীগেরও এক বছর আগে। আওয়ামী লীগ নেতারাও দলের ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত ছাত্র সংগঠনটিকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন বরাবরই। বিশেষ করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন মুখ সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এখন ছাত্রলীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদেরই মূল্যায়ন করা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। আসন্ন সম্মেলনেও এ ধারার ব্যত্যয় হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্যমতে, অতীতে দলটি যতবারই দুঃসময়ে পড়েছিল, ততবারই ছাত্রনেতা ও তৃণমূলের নেতারা এগিয়ে এসে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এ কারণে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের সময়ও ছাত্রনেতাদের কর্মকাণ্ড, সাংগঠনিক দক্ষতা ইত্যাদি বিবেচনায় নেয়া হয়। এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার পাশাপাশি কমিটির সদস্য অন্যদেরও কার্যক্রমের মূল্যায়ন করা হয়। অতীতে যারা বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন, সেসব ছাত্রনেতাকে মূল্যায়ন করা হবে এবারো।
দলটির নেতারা আরো জানান, আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচন করা হয় সম্মেলনের মাধ্যমে। বিগত কয়েকটি সম্মেলনে পদ দেয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এবারের সম্মেলনের মাধ্যমেও অনেক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দায়িত্বে আসবেন। যারা আগামীতে দল ও দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে সৎ, দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ সংগঠক, ত্যাগী, যোগ্য ও দুঃসময়ে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, তাদেরই আগামীতে দায়িত্বে আনা হবে।
এবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন মুখ হিসেবে যারা আলোচনায় আছেন তারা হলেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, বাহাদুর বেপারী, মাহমুদ হাসান রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, শেখ সোহেল রানা টিপু, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মহিউদ্দিন হেলাল, শাহাবউদ্দিন ফরাজী, সাইফুদ্দিন আহমেদ নাসির, এএইচএম মাসুদ দুলাল, আবদুল মতিন, প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, আবদুল মতিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান খলিল, সাবেক দপ্তর সম্পাদক কাজী নাছিম আল মোমিন রূপক, সাবেক সদস্য মাজহারুল ইসলাম মানিক প্রমুখ। এছাড়াও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সীমান্ত তালুকদার, জহিরউদ্দিন মাহমুদ লিপটন, জয়দেব নন্দী প্রমুখও আলোচনায় আছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংসদ সদস্য