রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারত সফরে যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি, বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের দুয়ারে সমাগত। রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার কারণেই তারা (পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ভারত সফরে নাও যেতে পারেন। তবে পরে যাবেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গতকাল প্রত্যাগত প্রবাসী আওয়ামী ফোরামের প্রথম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সফর চিরতরে বাতিল হয়নি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। গঠনমূলক বন্ধুত্ব রয়েছে। এটা যাতে ক্ষুণ্ন্ন না হয়, সে ব্যাপারে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বা আমাদের কোনো বিষয়ে সমস্যা হলে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।
দিল্লি ডায়ালগ ও ইন্ডিয়ান ওশান ডায়ালগ উপলক্ষে তিনদিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। এর আগে দুপুরে হঠাৎ করেই এ সফর বাতিলের কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে দেশটির মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার আমন্ত্রণে গতকাল বেলা ১১টায় সিলেটের তামাবিল হয়ে মেঘালয়ে যাওয়ার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর এ সফর স্থগিতের কথা জানান।
ভারতের এনআরসি-সিএবি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারত একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। তাদের পার্লামেন্টে যদি কোনো আইন পাস হয়, সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের সেখানে মন্তব্য করা সমীচীন নয়। তবে যেসব বিষয় আমাদের অ্যাফেক্ট করে বা প্রতিক্রিয়াটা আমাদের কাছে আসে, সেসব বিষয় নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে, সেখান থেকে এরই মধ্যে বক্তব্য রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে বক্তব্য রাখা হয়েছে, এর বাইরে আমার কোনো ভিন্ন বক্তব্য নেই।
এ সময় যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাটট্রিক বিজয় অর্জন করায় তাদের শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে রুশনারা আলী, রুপা হক, আফসানা বেগম বাঙালি হিসেবে ব্রিটিশ