কয়েক মৌসুম ধরে প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার দাবিদার বেড়েছে। তার প্রভাব ফেডারেশন কাপে থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। এএফসি কাপের যোগ্যতা নির্ধারণী দৌড়ের কারণে মৌসুম শুরুর আসর এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক আসরের মতো এবারো মৌসুম শুরুর লগ্নে থাকছে লড়াইয়ের ঝাঁজ।
প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ পায়। ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নরা প্লে-অফ লড়াইয়ে নামে। সে লড়াইয়ে জিতলে মেলে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের টিকিট। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সে লড়াইয়ে এবার নামবে ঢাকা আবাহনী। লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সরাসরি গ্রুপ পর্বে স্থান পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এসব হিসাবের কারণে বুধবার শুরু হতে যাওয়া ফেডারেশন কাপেই সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে শীর্ষ ক্লাবগুলো।
গতকাল অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রতিযোগিতার ড্র। ‘এ’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও প্রিমিয়ারে উঠে আসা পুলিশ এফসিকে। ‘বি’ গ্রুপে গত আসরের ফাইনালিস্ট বসুন্ধরা কিংস পেয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী ও ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। ‘সি’ গ্রুপে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গী হয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে চার দল। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, মোহামেডান ও উত্তর বারিধারা ক্লাবকে। ড্র শেষে দেখা যাচ্ছে সব গ্রুপেই সমতা রয়েছে। গ্রুপ অব ডেথ বলে কিছু নেই।
‘১৩ ক্লাবকে চার গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে। তিন গ্রুপে তিনটি করে দল, আরেক গ্রুপে চারটি। এখানে নতুনত্বের কিছু নেই। গ্রুপিং নিয়ে আর কী বলব, ভালোই হয়েছে গ্রুপ’—প্রতিযোগিতার গ্রুপিং-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বণিক বার্তাকে বলছিলেন ঢাকা আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু।
দলবদল-পরবর্তী হিসাব কষলে দেখা যাচ্ছে, এবারো কাগজ-কলমে শক্তির বিচারে এগিয়ে বসুন্ধরা কিংস। হালের পরাশক্তিদের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলার মতো অবস্থায় আছে কেবল ঢাকা আবাহনী। এরপর আসবে চট্টগ্রাম আবাহনী, শেখ রাসেল, সাইফ এসসি, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের নাম। সার্বিক হিসাবে