চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলে আরেকটি ‘রয়্যাল’ শো প্রদর্শন করল রাজশাহী রয়্যালস। দোর্দণ্ড প্রতাপে তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। প্রথম ম্যাচে তারা তারকাবহুল ঢাকা প্লাটুনকে হারিয়েছিল ৯ উইকেটের ব্যবধানে। গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী বিধ্বস্ত করেছে সিলেট থান্ডারকে। এবার তাদের জয় ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। রাজশাহীর দুই জয়ের দিনে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারের স্বাদ পেল সিলেট।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯১ রানে শেষ হয় সিলেটের ইনিংস। চলতি বিপিএলে এই প্রথম একশর নিচে অলআউট হলো কোনো দল। লিটন দাস (২৬ বলে ৪৪*) ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর (২৫ বলে ৩০) আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মামুলি এ সংগ্রহকে টপকাতে কোনো বেগই পেতে হয়নি রয়্যালদের। ৫৫ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতেছে রাজশাহী।
আগের ম্যাচের মতো এ খেলায়ও রাজশাহীর জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন বোলাররা। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। থান্ডারদের শুরুটা ছিল বেশ আশাজাগানিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৪ ওভারে ৩৫ রান তুলে নেন রনি তালুকদার ও জনসন চার্লস। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর পথ হারায় সিলেট। ধসের সূচনাটা এনে দেন রাজশাহীর ক্যারিবীয় রিক্রুট রাসেল। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রনিকে (১৯)। পরের ওভারেই চার্লসকে (১৬) সরাসরি বোল্ড করেন অলক কাপালি। এরপর সিলেট ইনিংসে শুধুই পতনের মিছিল।
তিন বর্ষীয়ান বোলার কাপালি, ফরহাদ রেজা ও রবি বোপারার ঝলকানির সামনে অসহায় হয়ে পড়ে সিলেট ব্যাটসম্যানরা। মোহাম্মদ মিথুন (২০) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (২০) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও তা যথেষ্ট ছিল না প্রয়োজনের তুলনায়। সিলেটের ছয়জন ব্যাটসম্যান পাননি দুই অংকের ঘরের নাগাল। দলটি শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ১৯ রানের মধ্যে। রাজশাহীর হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার অলক কাপালি। ৩ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় শিকার করেছেন ৩ উইকেট। রান দেয়ার ক্ষেত্রে বোপারা ছিলেন আরো কৃপণ। ৩ ওভারের মাত্র ১০ রান খরচায় ২ উইকেট নেন এই ইংলিশ পেসার। আরেক পেসার ফরহাদ রেজা