নভেম্বরসহ টানা দুই মাস চীনের আকরিক লোহা আমদানি নিম্নমুখী রয়েছে। মূলত অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলের শীর্ষ খনিগুলো থেকে চালান কমায় দেশটিতে ব্যবহারিক ধাতুটির আমদানি কমেছে। এদিকে চীনের ইস্পাত তৈরির কারখানাগুলোয় কাঁচামালটির চাহিদায় চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। খবর রয়টার্স।
ইস্পাত তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান আকরিক লোহা। আর চীন বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ। স্বাভাবিকভাবেই আকরিক লোহা আমদানিতে দেশটির অবস্থান প্রথম। কিন্তু অক্টোবর থেকে দেশটিতে ধাতব পণ্যটির আমদানিতে টানা মন্দা ভাব বজায় রয়েছে।
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে সব মিলিয়ে ৯ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার টন আকরিক লোহা আমদানি করেছে দেশটি, যা আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ ও আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৪৪ লাখ টন কম।
এ নিয়ে চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৯৭ কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার টন আকরিক লোহা আমদানি করেছে চীন, বার্ষিক আমদানির ভিত্তিতে যা দশমিক ৭ শতাংশ কম।
অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট হেডল্যান্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে এ বন্দর থেকে চীনের উদ্দেশে আকরিক লোহার চালান কমেছে আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৭ শতাংশ। এদিকে চলতি বছরে ধাতব পণ্যটির শীর্ষ উত্তোলক কোম্পানি ব্রাজিলের ভ্যালের বিক্রি কমে আসতে পারে আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ। জানুয়ারির প্রথম দিকে একটি বাঁধ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কোম্পানিটি। এতে কয়েকটি কূপ থেকে পণ্যটির উত্তোলন স্থগিত করতে বাধ্য হয় ভালি। ফলে ব্রাজিল থেকে এবার আকরিক লোহার সরবরাহ কমেছে।
এদিকে এ সময়ে চীনের ইস্পাত তৈরি কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। মাইস্টিল কনসালট্যান্সির তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষে দিকে দেশটির কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা আগের মাসের একই সময়ের তুলনায় ৬৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। এতে মিলগুলোয় আকরিক লোহার চাহিদা বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে আমদানি কমায় দেশটির বন্দরগুলোয় পণ্যটির মজুদ বাড়ছে না।
