জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতে আগামী বছর উত্তোলন ও সরবরাহ আরো কমিয়ে আনছে ওপেক প্লাস জোট। জোটটির দীর্ঘদিনের এ চেষ্টার ফলে আগামী বছরের শুরুতে বাজার কিছুটা চাঙ্গা হলেও বাকি সময়টা আবারো নিম্নমুখী হওয়ার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতীয় বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও আর্থিক সেবাপ্রতিষ্ঠান মরগান স্ট্যানলি। খবর রয়টার্স।
জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ে ব্যাংকটি তাদের প্রাক্কলন প্রতিবেদনে বলছে, ওপেক প্লাস জোটের উত্তোলন হ্রাসের ফলে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে অল্প সময়ের জন্য বাজার চাঙ্গা থাকবে। এ সময় বেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬২ ডলার ৫০ সেন্ট হতে পারে। তবে বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বাকি মাসগুলোয় দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নেমে আসতে পারে। আর জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ওয়েস্টে টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম প্রথম প্রান্তিকে ৫৭ ডলার ৫০ সেন্ট থাকবে। যেখানে বছরের বাকি মাসগুলোয় দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৫৫ সেন্টে নেমে আসবে।
মরগান স্ট্যানলি বলছে, ওপেক প্লাস জোটের উত্তোলন হ্রাস করার প্রচেষ্টা হিসেবে আগামী বছর ওপেকের দৈনিক জ্বালানি তেল উত্তোলন চার লাখ ব্যারেল কমে দাঁড়াবে ২ কোটি ৯২ লাখ ব্যারেলে। ওপেকের শীর্ষ রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব ও ওপেকবহির্ভূত দেশগুলোর নেতৃত্ব দেয়া রাশিয়া আগামী বছর জ্বালানি তেলের উত্তোলন আরো কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এ প্রাক্কলন করেছে ব্যাংকটি। তবে মার্চের মধ্যে আবারো উত্তোলন হ্রাস থেকে দেশ দুটি সরে আসবে বলেও মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাংকটি সম্প্রতি তাদের এক নোটে বলছে, সৌদি আরব ও রাশিয়ার অতিরিক্ত উত্তোলন কমিয়ে আনা স্বল্প সময়ের জন্য জ্বালানি তেলের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু উত্তোলন হ্রাসের পাশাপাশি তাদের অন্য বিষয়গুলোয় জোর দেয়া উচিত।
কারণ ব্যাংকটি মনে করে, ওপেক প্লাস জোট জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে আনলেও জোটবহির্ভূত দেশ বা নন-ওপেক দেশগুলোর উত্তোলন আগামী বছর প্রায় ১৮ লাখ ব্যারেল বাড়বে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাসভিত্তিক উত্তোলন প্রবৃদ্ধি থাকবে দৈনিক ৫০ হাজার ব্যারেল।
নিউইয়র্কভিত্তিক ব্যাংকটি মনে করছে, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) করা আইন অনুযায়ী, আগামী বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে। তবুও এ সময় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির উদ্বৃত্ত সরবরাহ থাকবে।