পাঁচটি সহযোগী কোম্পানি ও একটি সিস্টার কনসার্নের কাছে সর্বনিম্ন ৫১ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার সুতা বিক্রির সংশোধিত চুক্তি করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ম্যানেজমেন্টের আওতাভুক্ত অন্য কোম্পানির সঙ্গে এ ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সহযোগী ও সিস্টার কনসার্নের কাছে সুতা বিক্রির সংশোধিত চুক্তিতে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিয়েছে মতিন স্পিনিং মিলস।
সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, মতিন স্পিনিং মিলস তাদের সহযোগী কোম্পানি ফ্ল্যামিঙ্গো ফ্যাশনস লিমিটেড, জিনাত অ্যাপারেলস, জিনাত ফ্যাশনস লিমিটেড, জিনাত নিটওয়্যারস লিমিটেড ও হামজা টেক্সটাইলস লিমিটেড এবং সিস্টার কনসার্ন মাওনা ফ্যাশনস লিমিটেডের কাছে সুতা বিক্রির সংশোধিত চুক্তি করেছে। এর মধ্যে ফ্ল্যামিঙ্গো ফ্যাশনস লিমিটেডে সর্বনিম্ন ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৯৫ লাখ ডলার, জিনাত অ্যাপারেলস লিমিটেডের কাছে সর্বনিম্ন ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ লাখ ডলার, জিনাত ফ্যাশনস লিমিটেডের কাছে সর্বনিম্ন ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ ডলার, জিনাত নিটওয়্যারস লিমিটেডের কাছে সর্বনিম্ন ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৯৮ লাখ ডলার, হামজা টেক্সটাইলস লিমিটেডের কাছে সর্বনিম্ন ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ ডলার এবং মাওনা ফ্যাশনস লিমিটেডের কাছে সর্বনিম্ন ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ সুতা বিক্রি করবে। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে ছয় কোম্পানির কাছে সর্বনিম্ন ৫১ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার সুতা বিক্রি করবে মতিন স্পিনিং মিলস। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা এক মাসের আগাম নোটিসের মাধ্যমে যেকোনো সময় চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
জানতে চাইলে মতিন স্পিনিং মিলসের কোম্পানি সচিব মো. শাহ আলম মিয়া বণিক বার্তাকে বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে, একই ম্যানেজমেন্টের আওতাভুক্ত কোম্পানির কাছে কোনো সম্পদ বিক্রির পরিমাণ যদি তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দৃশ্যমান সম্পদের ১ শতাংশ কিংবা তার বেশি হয় কিংবা পণ্য ও উপকরণ সরবরাহের পরিমাণ যদি তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পূর্ববর্তী হিসাব বছরের বিক্রির ১ শতাংশ কিংবা তার বেশি হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা অনেক আগে থেকেই সহযোগী কোম্পানি ও সিস্টার কনসার্নের কাছে পণ্য বিক্রি করে এলেও ২০১৬ সাল থেকে এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে নিচ্ছি। মূলত নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা পরিপালনের জন্যই সহযোগী কোম্পানি ও সিস্টার কনসার্নের কাছে পণ্য বিক্রির বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে তার সিস্টার কনসার্ন ও সহযোগী কোম্পানির ঋণ ও কাঁচামাল সরবরাহ এবং স্থায়ী সম্পদের ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ বিষয়ে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকেও তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। পাশাপাশি এ ধরনের ক্ষেত্রে নিরীক্ষক তার প্রতিবেদনে কী পর্যবেক্ষণ দিচ্ছে, সে বিষয়টিও নজরদারি করছে কমিশন।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ খরচ কমাতে দুটি নতুন মেশিনারি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এগুলো হলো একটি কুলিং টাওয়ার ও একটি চিলার। কুলিং টাওয়ার ও চিলার কিনতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ ২১ হাজার ৯২৫ টাকা। মেশিনারি দুটি যুক্ত হলে কোম্পানিটির বিদ্যুৎ খরচ প্রতি বছর ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের